‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে অভাবনীয় সাড়া মেলায় নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করা হবে। বাড়ানো হচ্ছে ক্যাম্পের সংখ্যাও।
মমতা সরকারের নয়া ক্যাম্পেনে দারুণ সমর্থন মিলছে আমজনতার। স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী প্রকল্পের ফর্ম বিলিতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় সামলাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী ফর্ম বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বাড়ছে ক্যাম্পের সংখ্যাও।
সূত্রের খবর, ক্যাম্প বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজেই। সেই অনুযায়ী, নবান্ন থেকে জারি হওয়া একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় সামলাতে ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’, ‘সেল্ফ হেল্প গ্রুপ’কে যুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় ভিড় সামলাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করা হবে।
‘প্রমিনেন্ট সাজেশনস’ নামে সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সময়সূচি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত তাতে কোনও বদল ঘটানো হবে না। তবে তার সঙ্গেই যোগ করা হচ্ছে অতিরিক্ত পরিষেবা। আগামী দু’মাস এই কর্মসূচি পালিত হবে। তাই যথেষ্ট উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এও বলা হয়েছে, অনলাইন ফর্ম পূরণ করার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যেন ন্যূনতম তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ‘খাদ্যসাথী’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি থাকায় বেশি সংখ্যক কাউন্টার থেকে এই দু’টি কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ‘কন্যাশ্রী ক্লাবে, ‘কৃষক বন্ধু’ ইত্যাদি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। নবান্নের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পগুলি এমন জায়গায় করতে হবে যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ভালো। ক্যাম্পগুলিতে কোভিড-১৯ প্রোটোকল কঠোর ভাবে মানতে হবে। কর্মীদের জন্য টয়লেট ও পানীয়জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। খাবারের ব্যবস্থা থাকলে খুব ভালো হয়। সব মিলিয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
Comments are closed.