নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি অন্যবেঞ্চে স্থানান্তরিত হবে কিনা বৃহস্পতিবার তা নিয়ে শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। এদিনের শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি। তিনি শুনানির শুরুতেই বিচারপতিকে সরাসরি বলেন, মামলাকারী অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জির তরফে বার বার মামলা সরিয়ে নেওয়ার আর্জি করা সত্ত্বেও কেন শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বিচারপতি চন্দ।
উত্তরে বিচারপতি চন্দ বলেন, ১৬ তারিখ মামলাকারী পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা সরানোর আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতি ১৮ তারিখ মমতা ব্যানার্জির আবেদন খারিজ করেন। তারপরে ২৩ জুন মুখ্যমন্ত্রী পুনরায় মামলা স্থানান্তরিত করার আবেদন করেন। মাঝে এতদিন তিনি কেন কোনও আবেদন করেননি তা মনুসিংভির কাছে জানতে চান বিচারপতি চন্দ। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন নন্দীগ্রাম মামলা শুনতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
গত শুক্রবার নন্দীগ্রাম মামলার প্রথম শুনানি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এজেলাসে উপস্থিত না থাকায় শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেন বিচারপতি চন্দ।
এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিছু ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয় কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ। আইনজীবীদেরও একাংশ কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি বিচারপতি চন্দ বিজেপির সদস্য ছিলেন। আইনজীবী থাকাকালীন উনি বিজেপির হয়ে একাধিক মামলাও লড়েছেন।
এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত আবেদন জানান মামলা সরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়না। এরপর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিচারপতির কাছেই লিখিত আর্জি জানান, যাতে বিচারপতি চন্দ নিজে মামলা থেকে সরে যান।
নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিয়ম অনুযায়ী এদিন ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম ভোটের পুনর্গণনার বিষয়টির শুনানি হয়নি।
Comments are closed.