গল্পের গরু আবারও উঠছে গাছে! “ধুলোকনা” ধারাবাহিকে লালনের হাতে লিপস্টিক দিয়ে সিঁদুর পড়তে চায় তিতির! এসব উদ্ভট সিন দেখে হেসে কুল পাচ্ছেন না দর্শক
যবে থেকে টেলিভিশনে ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তবে থেকেই এই ধারাবাহিক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়ে গিয়েছে। প্রথম থেকে ধারাবাহিকের গল্প ঠিক এমন ভাবে সাজানো হয় যাতে মানুষ সমালোচনা হোক বা আলোচনা হোক সবটাই যেনো করেন। আর যদি সেটা হয় তাহলেই ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়বে। আর আখিরে লাভ হবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের। যার ফলে এখনকার ধারাবাহিকের বিষয়বস্তুর মধ্যে বাস্তবতার ছিটে ফোটাটুকুও থাকে না। আর এই সমস্ত অবাস্তব জিনিস দেখে দেখেই কটাক্ষ করেন দর্শক।
বাংলা ধারাবাহিকে রীতিমতো পলিসি হয়ে গেছে যে যত সব উদ্ভট জিনিস দেখিয়ে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করবে যাতে নেট মাধ্যমে সে ধারাবাহিক নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়। এর আগেও বহুবার বহু ধারাবাহিক এ ধরনের ঘটনা দেখানো হয়েছিল। যেমন শরীরের সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগানো এদিকে ওকালতি করতে বসেছিলেন কোর্টে। আবার কাঁচি দিয়ে বোম ডিফিউজ হয়ে গিয়েছিল। এইরকমই আরো একটি উদ্ভট ঘটনা দেখানো হলো ধুলোকণা ধারাবাহিকে। যা দেখে রীতিমতাদর্শক হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন।
এই ধারাবাহিকের যারা দর্শক আছেন তারা জানেন বর্তমানে ধারাবাহিক চলছে লালনের বিয়ের ট্র্যাক। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে নিজের বউ ফুলঝুরিকে ভুলে গেছে লালন। এবার সে বিয়ে করতে চলেছে ডাক্তারের মেয়ে তিতির কে। অন্যদিকে লালনের স্মৃতি ফেরানোর জন্য ডাক্তারবাবু তিতিরের সাথে লালনের বিয়ে দিচ্ছে। যেন ঠিক বিয়ের আগেই ফুলঝুরিকে দেখতে পেয়ে তার সবকিছু মনে পড়ে যায়। দর্শকমন্ডল জানেন খুব ভালো মতো যে তিতির কে সিঁদুর পড়ানোর সময়ই লালন ফুলঝুরিকে দেখতে পেয়ে তার সব কথা মনে পড়ে যাবে। কিন্তু এই সিঁদুর পড়ানোর সময় যে কান্ড হল তা দেখে একেবারে রীতিমতো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দর্শকদের।
তিতির লালন কে বলছে লালন যেন তাকে সিঁদুর না পরায়। কিন্তু কেন? কারণ তার নাকি রঙে অ্যালার্জি আছে। তাই সে লালন কে বলে তুমি যদি আমায় সিঁদুর পড়াও তাহলে আমার মুখ ফুলে যাবে । তাই লালন কে বলা হয় সে যেন লিপস্টিক দিয়ে তিতিরকে সিঁদুর পড়ায়। আর এটা দেখেই দর্শক বলছেন যে এ তো একেবারে ১৫ বছরের নিব্বা নিব্বিদের মতো লিপস্টিক দিয়ে বিয়ে হচ্ছে। তবে এভাবেই হয়তো গল্পের মোর আবার নিজের পথে ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন দর্শক।
Comments are closed.