নতুন এজেলাসে নন্দীগ্রাম মামলা। বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর মামলার শুনানি হবে।
একুশের ভোটের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এই জনপদ। ভোট মিটলেও নন্দীগ্রাম নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হয়নি। দল রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও নন্দীগ্রাম থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। সামান্য ভোটের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
ফলাফলের পরেই মমতা জানিয়েছিলেন ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে, তিনি আদালতে যাবেন। সেই মত হাইকোর্টে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্টেও নন্দীগ্রাম মামলা নতুন মোড় নেয়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ। তিনি বিজেপির লিগ্যাল সেলের অনুষ্ঠানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন এমন কিছু ছবিও তৃণমূল নেতারা ট্যুইট করেন। মমতা ব্যানার্জির তরফেও আবেদন প্রথমে প্রধান বিচারপতি এবং পরে কৌশিক চন্দের কাছে আবেদন করা হয়, বিচারের নিরপেক্ষতার খাতিরে তিনি যেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিকে কৌশিক চন্দ তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ খারিজ করেন। পাশাপাশি মামলাকারী তাঁকে পরিকল্পতিভাবে হেনস্থা ও অপমান করেছে এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ লক্ষটাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে মামলা থেকেও সরে দাঁড়ান।
এবার সেই হাইভোল্টেজ মামলার বিচারপতির আসনে শম্পা সরকার।
Comments are closed.