যুবরা রাজনীতিতে এলে এগোবে দেশ, নন্দকুমারের তরুণ BJP প্রার্থী নীলাঞ্জন চান নিজের কেন্দ্রে অভিনব ব্লাড ব্যাঙ্ক
পেশায় আইনজীবী নীলাঞ্জন বিশ্বাস করেন, দেশের শিক্ষিত যুব সমাজ রাজনীতিতে না এলে দেশটা শেষ হয়ে যাবে
বিধায়ক হওয়ার পরে, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিটি মানুষের ব্লাড টেস্ট করিয়ে তাঁদের ব্লাড গ্রুপ, ফোন নাম্বার নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি হবে, যাতে রক্তের জন্য অন্তত তাঁর কেন্দ্রের কাউকেই ঝক্কি পোহাতে না হয়। একান্ত আলাপচারিতায় জানালেন নন্দকুমারে বিজেপির তরুণ প্রার্থী নীলাঞ্জন অধিকারী।
২০০০ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। কলেজে কিছুদিন ছাত্র পরিষদ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু তারপর ক্রমশ আরএসএসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। পেশায় আইনজীবী নীলাঞ্জন বিশ্বাস করেন, দেশের শিক্ষিত যুব সমাজ রাজনীতিতে না এলে দেশটা শেষ হয়ে যাবে। সাফ জানালেন, সাধারণ মানুষ এখন আর রাজনীতিকদের শ্রদ্ধা করেন না। বিজেপির তরুণ প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ তিনি এই ধারণা পাল্টাতে পারবেন। তাই আইনজীবীর কেরিয়ার ফেলে মহা অনিশ্চয়তার রাজনীতির উঠোনে পা রাখা।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভোটের ময়দানে। তবে এবার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত নীলাঞ্জনের দাবি, এবার পূর্ব মেদিনীপুরের সব কটি আসনে পদ্ম পতাকা উড়বে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। জেলায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না? তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি প্রার্থীর জবাব, মানুষ ওঁর উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি, নন্দকুমারের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁর নিজের কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক দশ বছরে একদিনের জন্যও নিজের এলাকায় সক্রিয় ছিলেন না।
নন্দকুমারেই জন্ম, পড়াশোনা তমলুক কলেজে। অবসর শব্দটায় বিশ্বাস করেন না নীলাঞ্জন। সর্বদা সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অবসর বলে শব্দটি নীলাঞ্জনের অভিধানে নেই। জানলেন, এলাকায় ঘুরে ঘুরে উপলব্ধি করেছেন, স্থানীয় কৃষকরা ধান চাষ থেকে উৎসাহ হারাচ্ছেন। বিধায়ক হলে তাঁর পরিকল্পনা, কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ধানের পাশাপাশি অন্য অর্থকারী ফসল চাষ করার পরিকল্পনা করবেন।
নীলাঞ্জন অধিকারী সম্ভবত একমাত্র প্রার্থী যিনি ব্যক্তি নয় বরং আদর্শে বিশ্বাস করেন। প্রয়াত বিজেপি নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী, এল কে আডবাণীকে দেখে প্রভাবিত হলেও, নীলাঞ্জনের বিশ্বাস, নেতা আসে নেতা যায়, আদর্শই চিরস্থায়ী।
[আরও পড়ুন- দিনভর ৫ জনসভা, নন্দীগ্রামে প্রচারে ঝড় শুভেন্দুর]
বিজেপি ইশতেহারে বলেছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী করা হবে, কী বলেবেন?
বিজেপি প্রার্থী বলছেন বিরোধীরা এই আইন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে তিনি এও স্বীকার করলেন যে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু অংশ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চিন্তিত, তবে এই সমস্যা দ্রুত মিটবে, দাবি তরুণ বিজেপি প্রার্থীর।
নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন নন্দকুমারের তরুণ প্রার্থী। নিজের কেন্দ্রের ১৫টি অঞ্চল চষে ফেলেছেন। বয়স্ক থেকে তরুণ সবাই সাদরে গ্রহণ করছেন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
১ তারিখ নন্দকুমারে ভোট। বিজেপির তরুণ নেতা জানালেন, বিধায়ক হলে, সিপিএম, তৃণমূল সব দলেরই সিনিয়ারদের পরামর্শ নিয়ে এলাকার কাজ করবেন।
Comments are closed.