মন্ত্রী ও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি সম্প্রতি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মেডিক্যাল কলেজেই চিকিৎসাধীন।
হিসেব মত তাঁর থাকা উচিত হাসপাতালের বেডে। কিন্তু রাত আড়াইটেয় যদি দেখেন মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের আইসিইউয়ের বাইরে মাস্ক পরে বসে রয়েছেন নির্মল মাজি! চমকে উঠবেন তো? এমনই ঘটছে রোজ।
এক চিকিৎসক বলেন, “রাতে উনি প্রায় ঘন্টা তিনেক আমাদের সঙ্গে ছিলেন। সিসিইউয়ের বাইরে কিছুক্ষণ বসেন। তারপর ফ্লোরের অফিসের সামনে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বসেছিলেন। গুরুতর অসুস্থ ৪ চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর সকালে নিজের বেডে ফেরেন।” জানা গিয়েছে দু’জন সিনিয়র ডাক্তারের শ্বাসকষ্ট বেড়েছে, আবার তার সঙ্গে দু’জন জুনিয়র ডাক্তারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেডে শুয়ে থাকতে পারেননি নির্মল মাজি।
নির্মল বাবুকে একথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “যে চিকিৎসকেরা নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর কাজে যুক্ত, তাঁরা অসুস্থ হলে মাথার পাশে বসে থাকাটা আমার কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে এটাই পেয়েছি। এখন পাশে না দাড়াঁলে আর কখন?” ডাক্তারবাবুর এই উদ্যোগের প্রশংসা সব মহলে।
রাত ৩ টের সময় মুখে মাস্ক লাগিয়ে তাঁকে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ক স্টেশনে ডাক্তার ও নার্সদের সাথে কথা বলতে। নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রোগীরা কেমন আছে? এসএসবিতে প্রায় ১৬ জন জুনিয়র ও সিনিওর ডাক্তার আছেন। সকলেই করোনা যোদ্ধা। পরপর তিন রাত মন্ত্রী ওয়ার্ড ঘুরে দেখেছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, কে ঠিকমত খাবার খেল, কারও ওষুধ বাদ গেল কিনা, কার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে, সবই ডাক্তার নির্মল মাজির নখদর্পনে। এক নার্সের কথায়, “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। উনিও তাই!”
Comments are closed.