দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম নীতি আয়োগের বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাল মোদী সরকার। আগামী ১৫ই জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে বসবে নীতি আয়োগের বৈঠক। সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের উপস্থিতিতে দেশের কৃষক সমস্যা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মোদী সরকারের ডাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়া দেবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন বলে ঠিক করেও, ‘রাজনীতিকরণের’ অভিযোগে শেষ মুহূর্তে দিল্লি যাত্রা বাতিল করেছিলেন মমতা। পাশাপাশি, প্রথম মোদী সরকারের আমলে নীতি আয়োগের দুটি বৈঠকের একটিতে নিজে উপস্থিত হলেও, আর একটি অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে পাঠিয়েছিলেন। এবার কী করবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে তলানিতে পৌঁছেছে মোদী-মমতা সম্পর্ক। তারপর মোদীর তৈরি করা নীতি আয়োগের বৈঠকে সামিল হবেন কি মুখ্যমন্ত্রী? এখনও পর্যন্ত অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূলের তরফে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লোকসভা ভোটের সময় থেকেই মোদী-মমতার বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে। বিভিন্ন জনসভা থেকে নীতি আয়োগ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর বিজেপির অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে লাগাতার তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। নীতি আয়োগ নিয়েও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী নীতি আয়োগ তুলে দিয়ে ফের যোজনা কমিশন ফেরানোর দাবিও করেছেন একাধিকবার। পাল্টা মমতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিহিত করেছিলেন স্পিড ব্রেকার দিদি নামে। ভোটপর্ব মেটার পরেও তৃণমূলের মোদী বিরোধিতায় ভাটা পড়েনি। বরং প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই মোদী সরকারের বিরোধিতায় মঙ্গলবার পথে নেমেছে তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা এবং মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত জোড়া মিছিল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ জুন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যান কিনা সেটাই দেখার।
Comments are closed.