সৌন্দর্যের দিক থেকে কোন মডেলের থেকে কম না এই IPS অফিসার, কাজের চাপের জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন অফিসেই বিয়ে করেছিলেন নভজোৎ সিমি, জানুন তার পরিচয়
বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে সকলেই সরকারি চাকুরে হতে চায়। তবে বেশিরভাগ জনকেই হতাশ হতে হয়। বিশেষ করে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য ছেলেমেয়েদের মধ্যে উন্মাদনা এক অন্য স্তরের। সকলেই দিন রাত খেটে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে বসে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরীক্ষায় পাশ করেন হাতেগোনা কয়েকজন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা, নভজোৎ সিমি।
১৯৯৭ সালে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জন্মেছিলেন তিনি। পাঞ্জাবের পাখোয়ালের মডেল পাবলিক স্কুল থেকে নিজের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ শেষ করেছেন তিনি। ছোট থেকেই তার ইচ্ছে ছিল আইপিএস অফিসার হওয়ার। তবে শুরুতেই তিনি সেই নিয়ে পড়াশোনা করেননি। প্রথমে তিনি লুধিয়ানার বাবা যশবন্ত সিং ডেন্টাল কলেজ থেকে পাশ করেন। এরপর তিনি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ডেন্টাল সার্জারির, বিডিএস ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেন। এরপরই তিনি নিজের ডাক্তারি জীবন শুরু করে দিয়েছিলেন।
তবে ডাক্তারি জীবন শুরু করার বেশ কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ঠিক করেন ইউপিএসসি পরীক্ষা দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেন তিনি। তবে প্রথমবারেই তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তারপরে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন পরীক্ষায় পাশ করার জন্য। তার পরিশ্রম সার্থক হয়। পরেরবারেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষা পাস করেন। ২০১৭ সালে ৭৩৫ র্যাঙ্কে উত্তীর্ণ হয়ে মহিলা আইপিএস অফিসার হন।
বর্তমানে লেডি আইপিএস নভজোৎ সিমি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নিজের কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। কাজের চাপে বিয়ে করার সময় পারচ্ছিলেন না তিনি। সেই কারণের জন্যই অফিসেই ভালোবাসার দিনে অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিন বিয়ে সেরে নেন তার প্রেমিক তুষার সিংলার সাথে। তিনিও একজন আইএএস অফিসার।
লেডি আইপিএস হলেও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এতটুকুও কম যান না সিমি। তিনি কোনো প্রফেশনাল মডেলের থেকে কম কিছু নন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেও ভালোই অ্যাক্টিভ তিনি। প্রায়ই নিজের নানা ছবি শেয়ার করে থাকেন। নেটমাধ্যমে তার ফলোয়ার্স সংখ্যা নেহাতই কম নয়। সম্প্রতি এই লেডি আইপিএসের কথা উঠে এসেছে সকলের সামনে। তার চেষ্টাই সফলতার অন্যতম কারণ।
Comments are closed.