চালাচ্ছেন একটি সাধারণ স্কুটি। স্কুটির চারিদিকে রয়েছে প্ল্যাকার্ড দেওয়া। আর তাতে লেখা আছে Avoid honking. হিন্দি, বাংলা ভাষায় লেখা আছে এইকথা। কলকাতার বড়বাজারের ব্যবসায়ী কৈলাস মোহতা শহর জুড়ে চালাচ্ছেন এই স্কুটি। আর সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন, অযথা হর্ন বাজাবেন না। তিলোত্তমাকে শব্দদূষণহীন করতে এড়িয়ে চলুন অযথা হর্ন।
‘নো হঙ্কিং ম্যান’ বলে পরিচিত কৈলাস মোহতা টানা ৩৪ বছর ধরে গাড়ির হর্ন বাজাননি। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পাশ করার পর আমেরিকা যান। সেখানে গিয়ে দেখেন কোনও গাড়িতে হর্ন বাজেনা। তাই তিনি তখন নিজে সিদ্ধান্ত নেন, দেশে ফিরে সাধারণ মানুষকে অযথা হর্ন বাজানো নিয়ে সচেতন করবেন। তাই কলকাতায় ফিরেই নিজের গাড়িতে হর্ন বাজানো বন্ধ করে দেন।
সাধারণ স্কুটির মধ্যে প্ল্যাকার্ড লাগানো রয়েছে। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘বিনা কারণে হর্ন বাজাবেন না।’ হর্ন ছোটদের সমস্যায় ফেলে। হর্নের ফলে মানুষের স্ট্রেস বাড়ে। শব্দদূষনও হয়। তিনি এইক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের। বলেছেন, সারাদিন রাস্তায় কাজ করেন যেসব পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের হর্নের ফলে খুব সমস্যা হয়। তাই তাঁর লক্ষ্য শহরে অকারণে শব্দদূষণ বন্ধ করা। তাই ‘অকারণে হর্ন নয়’ প্রচার সারছেন। প্রচার গাড়ি চালানোর পাশাপাশি তিনি হিন্দি, বাংলা, ইংরেজিতে লেখা কাগজের লিফলেট বিলি করেন। সেখানেও অকারণ হর্নের বিরুদ্ধে সচেতন বার্তা দিচ্ছেন ‘নো হঙ্কিং ম্যান’ কৈলাস মোহতা।
Comments are closed.