যুক্তিহীন সিজার কমিয়ে স্বাভাবিক প্রসবের হার বাড়ানো হবে রাজ্যে, নিয়মিত প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অডিট করবে স্বাস্থ্যভবন

অযৌক্তিক সিজার কমিয়ে বাড়াতে হবে স্বাভাবিক প্রসবের হার। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেক-আপের ব্যবস্থা করতে হবে।সেইকারণে এএনএম নার্স ও আশাকর্মীদের আরও আরও কাজে লাগাতে হবে। এমনই নির্দেশিকা স্বাস্থ্যভবনের।

মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয় স্বাস্থ্যভবনে। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা জানান, নিয়মিত রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অডিট করবে স্বাস্থ্যভবন। রোজ বিকেলে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে করবেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। যে হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে, সেই হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। সম্প্রতি বাংলায় প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ২০১৭-১৯ সালের স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সার্ভের (এসআরএস) রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্যভবন। যেখানে দেখা গিয়েছে, ২০১৬-১৮ সালের তুলনায় সারা দেশই প্রসূতি মৃত্যুর হার কমেছে। কিন্তু হরিয়ানা, ছত্তিসগড়, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গেও এই হার বেড়েছে।

এই বিষয়ে সরকারি চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আরও উন্নত হয়েছে।

Comments are closed.