অসম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে এখনও প্রতিবাদে উত্তাল (North East Agitation)। সর্বত্রই মিছিল-মিটিং, অবরোধ ইত্যাদি চলছে। অসম এবং ত্রিপুরায় রেল যোগাযোগ কার্যত বন্ধ। আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচলও।
একই হাল সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও। এরই মধ্যে শুক্রবার ডিব্রুগড়ে সকাল থেকে পাঁচ ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে শহরের বাসিন্দারা দোকান-বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন জিনিস-পত্র কেনার জন্য, মুহূর্তের মধ্যে সেই সব জিনিসপত্র উধাও হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকে ১০ ঘণ্টার জন্য অবস্থান অনশনের ডাক দিয়েছে অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ান (আসু)। সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জল ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের প্রতিবাদ চলবে। কোনও চাপের কাছে আমরা মাথানত করব না। এদিকে অশান্তির কথা মাথায় রেখে সমস্ত বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের কাছে দেশের ্অখণ্ডতার বিরোধী কোনও খবর সম্প্রচার না করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অসমে ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হচ্ছে। এদিনও অসম এবং ত্রিপুরায় (North East Agitation) স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা পুলিশের হুমকিকে অগ্রাহ্য করে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল-মিটিংয়ে সামিল হন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমিয়া এবং ইংরেজিতে অসমবাসীর উদ্দেশে ট্যুইটে লিখেছিলেন, এই বিল নিয়ে আপনাদের চিন্তার কিছু নেই। কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয় বা সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না।পাল্টা ট্যুইট করে কংগ্রেস কটাক্ষ করে, অসমের ভাই-বোনেরা আপনার ট্যুইট পড়তে পারবেন না। কারণ, সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ। বস্তুত প্রধানমন্ত্রী, অসমের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল প্রমুখ শান্তির আবেদন করলেও তাতে কোনও কাজ হচ্ছে না। ৪৮ ঘণ্টা ধরে অসম ত্রিপুরায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। মোবাইল ফোনে যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় কার্যত গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলই বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। ঠিক এমনই অবস্থা হয়েছিল ৫ অগাস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর। বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কাশ্মীর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না তো?
Comments are closed.