বহু রাজ্য বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার আপডেট করার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিল সোমবার। পশ্চিমবাংলা সহ একাধিক রাজ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এনপিআর করবে না। তার পরেও কেন্দ্র এদিন এই ছাড়পত্র দেয়। এর জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জনগণনা কমিশন জানিয়েছে, দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের যাবতীয় তথ্য এনপিআর-এ নথিভুক্ত হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও একটি জায়গায় কেউ অন্তত ছয় মাস একটানা থাকলে তাঁর নাম এনপিআর-এ নথিভুক্ত হবে। দেশের সমস্ত স্থায়ী বাসিন্দার নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকে এনপিআর তৈরির কাজ শুরু হবে, চলবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। ইউপিএ সরকার এনপিআর তৈরির জন্য ২০১০ সালে প্রথম তথ্য সংগ্রহ করে।
সারা দেশজুড়ে এখন নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন চলছে। পশ্চিমবাংলা-সহ অনেক রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, তারা নয়া আইন এবং এনআরসি তাদের রাজ্যে চালু করবে না। মমতা ব্যানার্জি-সহ অনেক প্রতিবাদী মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যও তা মানবে না। ইতিমধ্যে বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ-র মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, বিহারে নয়া আইন কার্যকর করা হবে না। মমতা এবং কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, তাঁরা এনপিআর-ও করবেন না। রাজ্যগুলির বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এনপিআরকে ছাড়পত্র দেওয়ার অর্থ হল, তারা এ ব্যাপারে অনড়।
Comments are closed.