শুক্রবার দিল্লিতে বসতে চলেছে এনপিআর বৈঠক। কিন্তু সেখানে যাচ্ছেন না বাংলার সরকারি প্রতিনিধি। বুধবার ধর্মতলায় টিএমসিপির ধরনা মঞ্চ থেকে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি বিরোধিতার স্বরকে সপ্তমে তুলে তাঁর বক্তব্য, পারলে রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেখাক কেন্দ্র।
১৭ জানুয়ারি দিল্লিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার অফ ইন্ডিয়া বা আরজিসিসিআই জনগণনা এবং এনপিআর নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে ডেকেছেন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি জনগণনার সঙ্গে এনপিআরকে মিশিয়ে দেওয়া নিয়ে। এই বিরোধিতা সর্বোচ্চস্তরে নথিভুক্ত করতেই শুক্রবারের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ।
বুধবার ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চ থেকে এই ইস্যুতেই রণং দেহী অবস্থান নিলেন মমতা। সাফ জানিয়ে দিলেন আরজিসিসিআইয়ের ডাকা এনপিআর বৈঠকে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যাবেন না। এবং এজন্য যদি কেন্দ্র রাজ্যের সরকার ভেঙে দেওয়ার পথে যায়, সেই লড়াইও লড়তে রাজি তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে মমতা জানান, প্রথমে যখন এনপিআরের কাজ শুরু হয়, তখন প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিশদে জানতেন না তিনি। মমতা ব্যানার্জির কথায়, পরে যখন বুঝতে পারি এনপিআরের জন্য বাবা-মায়ের নাম, প্রমাণ সহ পিতা-মাতার জন্মস্থানের উল্লেখ এবং জন্ম তারিখ চাওয়া হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে দিই। এসবের কী প্রয়োজন? এনসিআর চালু করার উদ্দেশেই কি এগুলো চাওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভামঞ্চ থেকেই মমতা কার্যত হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বলেন, পারলে রাজ্যের সরকার ভেঙে দেখাক কেন্দ্র। তাঁর কথায়, কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুজায়গাতেই মানুষের দ্বার নির্বাচিত সরকার রয়েছে। এরপরই নাম না করে রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে আক্রমণ শানান। বলেন, এ রাজ্যে বিজেপির একজন মুখপাত্র আছেন। এ জন্য পারলে তিনি আমাদের সরকার ভেঙে দিন। তারপরই চ্যালেঞ্জের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা থাকলে সরকার ভেঙে দেখান।
Comments are closed.