পেটের রোগে ভোগেন না এমন বাঙালির দেখা পাওয়া মুশকিল। বাঙালির সঙ্গে কার্যত সমার্থক পেটের সমস্যা। এবার বাঙালির বারোয়ারি সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে খুলতে চলেছে গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি বিভাগ। জানিয়েছেন এনআরএসের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাক্তার শান্তনু সেন। খুব দ্রুত স্বতন্ত্র বিভাগটি চালু হবে একটি ইউনিট নিয়ে।
পিজি হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। কলকাতা শহরে এই তিনটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এতদিন ছিল গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি বিভাগ। কিন্তু এনআরএস হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিক্যালে ছিল না স্বতন্ত্র বিভাগ। ইউনিট হিসেবেই কাজ চলছিল এতদিন। এবার এনআরএস পাচ্ছে স্বতন্ত্র পেটের রোগ চিকিৎসা বিভাগ।
চিকিৎসা পরিভাষায় একটি ইউনিটের অর্থ, একজন অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর এবং একজন আরএমও। বর্তমানে এনআরএসের মেডিসিন বিভাগের অধীনে একটি ইউনিট হিসেবেই চলছিল পেটের রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রতি বুধবার চলে আউটডোর। এবার তাই বদলে যাচ্ছে পুরোদস্তুর বিভাগে। এনআরএস সূত্রে খবর, করোনা পর্বে ভিড় কমলেও এখনও দৈনিক দুশো রোগী পেটের নানা সমস্যার কারণে হাজির হন হাসপাতালে। এনআরএসের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মানস মণ্ডল জানিয়েছেন, ইউ এন ব্রহ্মচারী বাড়ির চারতলায় ১০ টি পুরুষ ও ১০ টি মহিলা রোগীর বেড নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। তারপর চাহিদার উপর নির্ভর করবে বেড সংখ্যা।
২০১৭ সাল থেকে এনআরএসে মেডিসিন বিভাগের একটি ইউনিট হিসেবে কাজ করছে পেটের রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র। কিন্তু পৃথক কোনও বিভাগ ছিল না। এবার সেই সমস্যা সমাধানে পুরোদস্তুর গ্যাসট্রো বিভাগ খোলা হচ্ছে। এর ফলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ।
Comments are closed.