কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদেরও চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সে ভর্তির ছাড়পত্রের প্রস্তাব, বিতর্ক চিকিৎসক মহলে
এবার কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়ারাও চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। সম্প্রতি এমনই খসড়া তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল (আইএনসি)।
দেশের সমস্ত নার্সিং কোর্স ও রেজিস্টার্ড নার্সের সংগঠন আইএনসি এবার বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়াও কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদেরও বিএসসি নার্সিং কোর্স করার ভাবনা নিয়েছে। আইএনসি-র প্রস্তাবিত খসড়ায় এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলে এবার চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সের দরজা খুলে যেতে পারে আর্টস ও কমার্সের পড়ুয়াদের জন্য।
চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে গেলে বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করা পড়ুয়াদের এন্ট্রান্স টেস্ট পেরতে হয়। আইএনসি-র প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, যে কোনও শাখার পড়ুয়ারা ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে বারো ক্লাস পাশ করলে সংশ্লিষ্ট এন্ট্রান্স টেস্টে বসতে পারবেন। এন্ট্রান্সে পাশ করতে পারলে কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়ারাও চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্স করার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
কিন্তু কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়ারা এন্ট্রান্স পাশ করলেও বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করা পড়ুয়াদের থেকে কি সামান্য হলেও পিছিয়ে থাকছেন না? এই কারণে প্রস্তাবিত খসড়ায় বিএসসি নার্সিং প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য অতিরিক্ত ৬০ ঘণ্টার ক্লাসের কথা বলা হয়েছে। যা তাঁদের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা সহপাঠীদের সঙ্গে তাল মেলাতে সাহায্য করবে। যদিও অল ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট নার্সেস ফেডারেশন এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় বলে খবর।
উল্লেখ্য, নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা, জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি (জিএনএম) কোর্স ২০২১ সাল থেকে বন্ধ করে সব শাখার পড়ুয়াদের জন্য বিএসসি নার্সিং কোর্সের দরজা খুলে দিতে চাইছে আইএনসি। এই নার্সিং ডিপ্লোমা কোর্সটিতে যে কোনও বিষয়ের স্নাতকরা ভর্তি হতে পারতেন। এই প্রস্তাবিত খসড়া প্রসঙ্গে দুই রকম মত শোনা যাচ্ছে চিকিৎসক মহলে। এক সরকারি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, চার বছরের বিএসসি নার্সিং কোর্সে কলা ও বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াকে ভর্তির ছাড়পত্র দিলে এই বিএসসি পাঠ্যক্রমটিকেই খতম করে ডিপ্লোমা কোর্সের আপগ্রেড করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত খসড়ায় অ্যানাটমি ও ফিজিওলজি শিক্ষার সময়ও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ।
Comments are closed.