একসময় আলো জ্বলত না এই রাস্তায়। আর এই রাস্তা এখন ঝাঁ চকচকে। এই গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে আদর্শ গ্রামে। বাগানে ঘেরা এই গ্রাম এখন বাংলার গর্ব।
কিন্তু কোন গ্রামের কথা বলছি জানতে ইচ্ছা করছে তো। আসুন জেনে নেওয়া যাক। এই গ্রামেই জন্ম নিয়েছিলেন বাংলার গর্ব বিদ্যাসাগর। পূর্ব মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মকে বিদ্যাসাগরের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতেই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২ বছর আগেও এই গ্রামের চেহারা ছিল অন্য। আর আজ হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে। বিদ্যাসাগর বাঙালীর ইতিহাসে চির স্বরণীয় মনীষী। এক একটা অধ্যায় হিসেবে সেজে উঠেছে বীরসিংহ গ্রাম।
আজও তাঁর কর্মকান্ড মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। বিদ্যাসাগরের নানা কর্মকান্ডকে জনসমক্ষে তুলে ধরতেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিদ্যাসাগরের অসামান্য কীর্তিতে তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রামে। রাস্তায় লাইট পড়াশোনা থেকে শুরু করে মাইল ফলক দেখে লেখাপড়া শেখা, সবটাই তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রামে।
দেওয়াল চিত্রের মাধ্যমে বিদ্যাসাগরের নানা রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মুখে ও বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে যাওয়ার আগে দুটি তোরণ তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে। বিদ্যাসাগরের লেখা বর্ণপরিচয়ের আদলে তৈরি হয়েছে এই তোরণ।
২০১৯ সালে মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার পর বিধায়ক তহবিল থেকে ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে। বাংলার এই মনীষীর সব কাজকে এক ছাদের নীচে তুলে ধরার জন্য খুশি গ্রামবাসীরাও।
Comments are closed.