পেঁয়াজের দাম ক্রমশই লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সারা দেশেই পেঁয়াজ এখন অগ্নিমূল্য। কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এই রাজ্যেও কোনও কোনও বাজারে এই দরই চলছে। তবে অধিকাংশ খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন ১১০ থেকে ১৩০ টাকা চলছে। দাম কবে কমবে, কেউ তা বলতে পারছেন না। সংসদে বিরোধীদের হই চই-এর মুখে পড়েও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এ ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। গত দু’দিন ধরে বিরোধীরা সংসদে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়ে সরব। বৃহস্পতিবারও কংগ্রেস সংসদের বাইরে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। বিকেলে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠী বৈঠক করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন কলকাতার শিল্প সম্মেলনে পেঁয়াজের আগুন-দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ছুঁয়েছে। এ আমরা কোথায় আছি? তিনি অবিলম্বে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যি পেঁয়াজের দামের এই হাল। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, বিরোধীরা পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, মহারাষ্ট্রে বন্যা হয়েছে বলে পেঁয়াজ চাষ মারাত্মকভাবে মার খেয়েছে। তার জন্যই এই অবস্থা। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা হচ্ছে। ওই পেঁয়াজ কবে আসবে তা অবশ্য কেন্দ্র পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি। কলকাতায় রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, এই সঙ্কট ডিসেম্বর মাসজুড়েই চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে রাজ্য সরকার সুফল বাংলার ভ্রাম্যমান স্টল থেকে ৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ বেচছে। সেখানে অবশ্য জনপ্রতি মাত্র ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। কোথাও কোথাও মারামারিও হচ্ছে। এরই মধ্যে এদিন কাঁকুড়গাছির ভিআইপি বাজারে সুফল বাংলার একটি স্টল থেকে ২০ কেজি পেঁ য়াজ চুরি হয়ে গিয়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক ছোট দোকানদারই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। মানিকতলা, বেলেঘাটা, কাঁকুড়গাছি প্রভৃতি এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে তাঁরাও আর পেঁয়াজ বিক্রি করবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন কলকাতার শিল্প সম্মেলনে পেঁয়াজের আগুন-দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ছুঁয়েছে। এ আমরা কোথায় আছি? তিনি অবিলম্বে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যি পেঁয়াজের দামের এই হাল। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, বিরোধীরা পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, মহারাষ্ট্রে বন্যা হয়েছে বলে পেঁয়াজ চাষ মারাত্মকভাবে মার খেয়েছে। তার জন্যই এই অবস্থা। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা হচ্ছে। ওই পেঁয়াজ কবে আসবে তা অবশ্য কেন্দ্র পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি। কলকাতায় রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, এই সঙ্কট ডিসেম্বর মাসজুড়েই চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে রাজ্য সরকার সুফল বাংলার ভ্রাম্যমান স্টল থেকে ৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ বেচছে। সেখানে অবশ্য জনপ্রতি মাত্র ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে। কোথাও কোথাও মারামারিও হচ্ছে। এরই মধ্যে এদিন কাঁকুড়গাছির ভিআইপি বাজারে সুফল বাংলার একটি স্টল থেকে ২০ কেজি পেঁ য়াজ চুরি হয়ে গিয়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক ছোট দোকানদারই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। মানিকতলা, বেলেঘাটা, কাঁকুড়গাছি প্রভৃতি এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে তাঁরাও আর পেঁয়াজ বিক্রি করবেন না।
Comments are closed.