রাজ্যপালের কাছে কেন এসেছি কয়েকদিন পরে বুঝতে পারবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইঙ্গিতপূর্ন মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার জেরে ফের একবার ৩৫৬ ধারা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করে সোমবার শুভেন্দু অধিকারীরীর নেতৃত্ব বিজেপি বিধায়কেরা বিধানসভা থেকে হেঁটে রাজভবনে যান রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে।
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এদিন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর একমাস কেটে গিয়েছে এখনও বিজেপির ১৭ হাজার কর্মী সমর্থক বাড়ি ছাড়া। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির এক মন্ডল সভাপতি মিথ্যে মামলায় জেল খেটে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা।
তৃণমূলকে উদ্দেশ্যে করে নন্দীগ্রামের বিধায়কের তোপ, যদি কেউ ভেবে থাকে, ক্ষমতার দম্ভে, মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে রাখবে, তাহলে ভুল করছে।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, অতীতে পশ্চিবঙ্গে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বিজেপিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। আমরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছি, ১৫টি রাজ্যে আমাদের সরকার আছে।
এদিন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বলেন, এরকম প্রশাসন দেখিনি। অভিষেক ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে বলেন, থানার বড়বাবু থেকে শুরু করে ডিজি সব ভাইপোর ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।
দলত্যাগী আইন নিয়েও ফের একবার সরব হন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষ-এর কাছে দলত্যাগী আইন প্রয়োগ নিয়ে আবেদন জানাবে তাঁরা। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিলে বিকল্প পথ জানা আছে তাঁর। বিধায়কপদ খারিজ প্রসঙ্গে এদিন তিনি দিল্লি, উত্তরাখন্ড, মণিপুরের উদাহরণ টেনে আনেন।
বাংলার সংবাদমাধ্যমও নিরেপক্ষ হয়ে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
Comments are closed.