করোনা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু রেশন বিলি নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে মমতার সরকার। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবার যুক্ত করা হচ্ছে ওটিপি সিস্টেম। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে সময় মতো রেশন তোলার জন্য রেশনেও চালু হচ্ছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির সুবিধা। অর্থাৎ, রেশনের জিনিসপত্র নিতে হলে গ্রাহকের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে চলে যাবে ওটিপি। আর দোকানে সেটি দেখালেই মিলবে রেশন।
করোনা আর লকডাউন পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অর্থনীতির চাকা প্রায় স্তব্ধ, মানুষের হাতে নগদ অর্থের অভাব। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছেন, সবার জন্য বিনামূল্যে রেশনের। কিন্তু সেই রেশন নিতে হচ্ছে কার্ড দেওয়া নেওয়া করে বা ই-পিওএস মেশিনে আঙুল ছুঁইয়ে। অর্থাৎ, তাতেও থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের ভয়। এই সব খেয়াল করেই অন্য রাস্তায় হাঁটল রাজ্যের খাদ্য দফতর। এখন আঙুলের ছাপের পাশাপাশি গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করা যাচ্ছে মোবাইল নম্বরেও। সেখান থেকেই ওটিপির ভাবনা খাদ্য দফতরের। ফোন নম্বরের সাহায্যে গ্রাহকের পরিচয় যাচাই হলে রেশন বিলি নিয়ে সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে দোকানে রেশন কার্ড নিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও অতিমারির সময় সবচেয়ে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ।
রেশন গ্রাহকদের আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণের জন্য সক্রিয় হয়েছে খাদ্য দফতর। ই-পিওএস যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের এই দু’টি নম্বর নথিভুক্ত করার জন্য ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আধার ও মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করলে কী কী সুবিধা গ্রাহক পাবেন, তাও বিস্তারিতভাবে জানানো হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় কারও বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী অন্য কেউ তুলতে পারবেন না বলে দাবি খাদ্য দফতরের। এদিকে রাজ্যে ৭ কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহকের আধার নম্বর সংযুক্তিরকরণ হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে জাতীয় প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্যের প্রকল্পের রেশন গ্রাহকরাও আছেন। এখন বাকি থাকা রেশন গ্রাহকদের আধার নম্বরের পাশাপাশি সবারই মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণ করতে চাইছে সরকার। ফলে ওটিপির মাধ্যমে সবাইকেই রেশন বিলি করা সম্ভব হবে।
Comments are closed.