বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে এল পেশমেকার। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা দুর্গাপুরের এ জোনের এস এন ব্যানার্জি রোডের। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের।
দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কাশীনাথ চৌধুরী। গত বছরের শেষের দিকে বুকে ব্যাথা শুরু হয়। তাঁকে একটি বেসরকারি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ডিসেম্বরেই একটি অস্ত্রপচার হয় কাশীনাথ বাবুর। হার্টের গতি বাড়াতে অত্যাধুনিক একটি যন্ত্র সিআরডিডি নামে একটি যন্ত্র বসানো হয় কাশীনাথ বাবুর বুকে। বাড়িও ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের বুকে ব্যাথা শুরু হয় কাশীনাথ বাবুর। বুকে বাম দিকে যেখানে পেশমেকার বসানো হয়েছিল সেখানে একটি গর্ত দেখা যায়।
ওই হসপিটালে কথা বলা হলেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর ছেলে লক্ষণ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায় বেশি টাকা দিয়ে ফের চিকিৎসা করাতে হবে। কলকাতায় নিয়ে আসা হলেও বলা হয় যেখানে অস্ত্রপচার করা হয়েছে, সেখানেই যেতে হবে। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়। এরপর তড়িঘড়ি কথা বলা হয় ওই হসপিটালের সঙ্গে। এরপর হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠায় রোগীর পরিবারের লোকজনকে। বসে বোর্ড মিটিং। ফের কাশীনাথ বাবুকে ভর্তি করা হয় ওই হসপিটালে।
যদিও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ পুরো দোষ চাপিয়েছে রোগীর পরিবারের ওপর। অস্ত্রপচারের পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে হসপিটালের বিরুদ্ধে।
Comments are closed.