নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বিরোধীদের মামলা খারিজ করে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দাখিল করা মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বিডিও অফিসে মনোনয়ন দাখিল করতে না পেরে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের ন’জন প্রার্থী হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন পত্র পেশ করেন। সূত্রের খবর, আদালতের জটিলতা কাটায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্ভবত মে মাসে মাঝামাঝি হবে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের নতুন দিন ঘোষণা করবে কমিশন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বিচারপ্তি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি শুরু হয়। সোমবারেই আদালত জানিয়েছিল, মূল পঞ্চায়েত মামলার সঙ্গে যুক্ত করে নতুন মামলাটির শুনানি হবে। এদিন কংগ্রেসের আইনজীবী জানান, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জায়গার উল্লেখ নেই। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস ই-মেল করে কমিশনকে। কিন্তু তার উত্তর না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের অভিযোগ ছিল, অযথা তাড়াহুড়ো করছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর শুনানি শেষে নিজেদের বক্তব্য পেশ করে কমিশন। আদালতের কাছে তুলে ধরা হয় বিরোধীদের জমা দেওয়া মনোনয়নের তথ্য। এরপর হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে আর হস্তক্ষেপ করা হবে না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন পেশের যে নির্দেশ আদালত দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।