১০ বছরের মেয়ের দেহদান করে নজির গড়লেন শিক্ষক বাবা-মা। তাঁর চোখ দিয়ে দেখতে পারবেন অন্য একজন। এটাই পরম শান্তি বাবা-মায়ের।
কঠিন ব্যাধিতে জীবন কেড়েছে একরত্তির। কিন্তু চিতার আগুনে মেয়ের শেষকৃত্য করতে চাননি হাওড়ার বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল ও মঞ্জুশ্রী দেবীর ছোট মেয়ে শ্রীতমা মণ্ডল। সাড়ে তিন বছর বয়সে সে মস্তিস্কের দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছিল। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার পর রবিবার মৃত্যু হয় শ্রীতমার। এরপরেই তাঁর বাবা-মা দেহদানের সিদ্ধান্ত নেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই সংগঠনের মাধ্যমে দেহদান করা হয়। সোমবার এসএসকেএমের মেডিক্যাল অটোনমিক বিভাগে দেহদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়।
শ্রীতমার বাবা-মা জানিয়েছেন, আমরা চিতার আগুনে ওকে পুড়িয়ে দিতে চাই না। আমার এই ছোট্ট মেয়ের দেহটা আমার চোখের সামনে পুড়ে যাবে, আমি চাই না। আমি চাই এটা সমাজের উপকারে আসুক। চিকিত্সা বিজ্ঞানের কাজে আসুক। কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক বাবা নারায়ণ মণ্ডল ও মা স্কুল শিক্ষিকা। বাড়িতে দিদি আছে শ্রীতমার। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে সে। তাঁর বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত মরোনত্তর দেহদান প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করবে।
Comments are closed.