বিয়ে করবেন না বলেই মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু একুশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভঙ্গ হল প্রতিশ্রুতি। ভোটই তাঁকে শেষমেশ বিয়ের পিড়িতে বসাল। বিয়েটা সেরেই ফেললেন উত্তরপ্রদেশের হাতি সিংহ। আর বিয়ের পরেই ভোট ময়দানেই হানিমুন পর্ব সারছেন নবদম্পতি। কারণ উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে এবার প্রার্থী হাতি সিংহের নববধূ।
২০১৫ সাল থেকেই শুরু করা যাক। সে বছর উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন হাতি সিংহ। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মুখিয়া হবেন। স্বপ্ন সত্যি করতেই অনেক ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে ২০১৫ সালে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ান। প্রতিপক্ষের কাছে মাত্র ৫৭ ভোটে হারেন। হাল না ছেড়ে পরের ভোটের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন হাতি। আবার চলে আসে পঞ্চায়েত ভোট। এবারও তিনি প্রার্থী হবেন, শোরগোল পড়ে যায়। আচমকাই যেন ইন্দ্রপতন! জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার মুরলী ছাপরা ব্লকের করন ছাপরা গ্রামের আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা তখন হাতি সিংহের। কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে? অনেক ভেবে হাতিকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন বন্ধুরা। বিয়ে করলে স্ত্রীকে ভোটের প্রার্থী করা যাবে। পরামর্শে চিঁড়ে ভেজে।
শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাজি হন তিনি। ভোটের প্রার্থী হওয়ার সবরকম যোগ্যতা সম্পন্ন মেয়েকে বিয়ে করেন হাতি সিংহ। ২৬ মার্চ বিয়ের পর একদিনও সময় নষ্ট নয়। স্ত্রীর মনোনয়ন পেশ করেছেন। তারপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। মানুষের বাড়ি, উঠোন, অলিগলিতেই মধুচন্দ্রিমা কাটাচ্ছেন নব দম্পতি।
১৫ এপ্রিল থেকে উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু। চারদফায় অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ২ মে ভোটের ফল ঘোষণা। জিতবেন স্ত্রী? পূরণ হবে হাতি সিংহের স্বপ্ন? উত্তর মিলবে ২ মে।
Comments are closed.