রাজ্যে নতুন করে ১৮৩ জন সংক্রমিত হলেন করোনায়। মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের। এর মধ্যেই হাবড়ার করোনাজয়ী তরুণী মনামী বিশ্বাস গবেষণার কাজে রাজ্যে প্রথম প্লাজমা দান করে ফেললেন। বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কোভিড হাসপাতালে গিয়ে তিনি প্লাজমা দান করেন। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, ওই তরুণীর দান করা প্লাজমা অন্তত দু’জন করোনা রোগীকে দেওয়া সম্ভব হবে। আরও বেশ কয়েকজনের প্লাজমা সংগ্রহ হলে আইডি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের সেই প্লাজমা দিয়ে শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।
আর রাজ্যে প্রথম প্লাজমাদাতা হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়লেন হাবড়ার ওই তরুণী। পূর্ব ভারতে প্রথম থেরাপির জন্য কোনও কোভিডজয়ীর প্লাজমা সংগ্রহ করা হল।
রাজ্যে তৃতীয় করোনা সংক্রমিত হিসেবে হাবড়ার ওই তরুণীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যিনি স্কটল্যান্ড গিয়েছিলেন মাস্টার্স পড়তে। সেখানেই করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ভারতে ফেরেন গত ১৮ মার্চ। তবে দেশে ফিরেই দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে নিজেই বেলেঘাটা আইডিতে গিয়ে কোভিড পরীক্ষা করান। হাসপাতালে ভর্তি হন ১৯ মার্চ এবং তার পরের দিন রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু মনোবল হারাননি ওই তরুণী। সব নিয়ম মেনে চলে চিকিৎসকদের সাহায্যে করোনা সংগ্রামে জয়ী হন তিনি। গত ৩১ মার্চ তিনি ফিট সার্টিফিকেট পান। এরপরই প্লাজমা দানের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন ওই তরুণী। তাঁর এই উদ্যোগ বাকি করোনাজয়ীদেরও উৎসাহ দেবে অন্যদের সাহায্য করতে।
প্রসঙ্গত, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর রক্তরস বা প্লাজমার মাধ্যমে নোভেল করোনার চিকিৎসা শুরু করে আমেরিকা। একই পথে হাঁটে ব্রিটেনও। ভারতেও অতি সংকটজনক কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীকে প্লাজমা থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করার ছাড়পত্র দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)।
দেশের মধ্যে দিল্লির এক করোনা রোগী প্রথম প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হন। গত এপ্রিলে তাঁর করোনা পজিটিভ হয়। কিন্তু প্লাজমা থেরাপির দৌলতে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে যান তিনি।
Comments are closed.