ভার্চুয়াল প্রচারে Modi: নয়া শিক্ষা নীতি রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থারই বিস্তারিত রূপরেখা
বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী কাজ করবে তার একটি বিস্তারিত রূপরেখা তিনি এদিন তুলে ধরেন
শুক্রবার বাংলার শেষ দু’দফার ভোটের ভার্চুয়াল প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সপ্তম এবং অষ্টম দফার ভোট ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল। শেষ দু’দফায় বাংলায় ৭১ টি আসনে ভোট হবে।
বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী কাজ করবে তার একটি বিস্তারিত রূপরেখা তিনি এদিন তুলে ধরেন। দীর্ঘদিন বাংলায় পৌরসভা ভোট হয়নি। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোটে বহু আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। এই নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বার বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলার পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটের কথা উঠে আসে। বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবার প্রথম পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এবং পুরসভাগুলিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে তাঁর দল। তাঁর কথায়, সরকারের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের যোগাযোগের প্রথম জায়গা পঞ্চায়েত এবং পুরসভা। বাংলায় এই দুটি ক্ষেত্র বহুদিন ধরে বিপর্যস্ত।
সেই সঙ্গে এদিন ফের তাঁর ভাষণে উঠে আসে অনুপ্রবেশ, তোলাবাজি, সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ বাংলার উন্নতির পথে এই বিষয়গুলি পরিপন্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোদীর দাবি, বাংলায় প্রভূত সম্ভবনা থাকলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদীর দাবি, নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তিনি বুঝেতে পেরেছেন, সারা বাংলায় পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। বাংলার মানুষ সুশাসনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন- বাংলায় জিতলে ফ্রি টিকা, ট্যুইট বিজেপির, বিহারের জুমলা বাংলাতেও? পাল্টা তৃণমূল]
শুক্রবারের ভার্চুয়াল সভা থেকে নতুন শিক্ষা নীতির পক্ষেও সওয়াল করেন মোদী। তাঁর কথায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন, ভারত সরকারের নতুন শিক্ষা নীতি তারই বিস্তারিত রূপরেখা।
গত ছয় দফায় বাংলার ভোট গ্রহণের যে হার ছিল, তা নিয়েও প্রশংসা শোনা যায় মোদীর গলায়। বলেন বাংলায় যে সংখ্যায় মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিয়েছেন, তা সারা দেশকে প্রেরণা যোগাবে।
Comments are closed.