ভবানীপুরে দম্পতি খুনে গ্রেফতারি বেড়ে দাঁড়াল ৩ জনে। বুধবার রাতে দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। বুধবার দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। দু’জনেই হাওড়ার বাসিন্দা। এদিন যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি ওড়িশার বাসিন্দা বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাতি দম্পতি খুনে এখনও অধরা মূল ষড়যন্ত্রকারী। যদিও তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, খুনের নেপথ্যে মূল চক্রীকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হবে। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছে, প্রথমে মনে করা হচ্ছিল লুঠের উদ্দেশ্যেই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এর সঙ্গে একটি আর্থিক যোগ রয়েছে। এবং দুষ্কৃতী শাহ দম্পতির পরিচিত কেউ।
ভবানীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এরকম ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, তিনি এই ঘটনায় স্তম্ভিত। সেই সঙ্গে এও বলেন, কোনও ভাবেই এধরণের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, শাহ দম্পতির মেজ জামাইয়ের এক দূর সম্পর্কের ভাইকে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে ছিলেন নিহত অশোক শাহ। সম্প্রতি তাঁর ব্যবসা নিয়ে সমস্যা দেখায় ধারের টাকা ফেরত চেয়েও পাচ্ছিলেন না। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহ দম্পতির ওপরে কোনও কারণে তীব্র আক্রোশ ছিল মূল চক্রীর সেখান থেকেই দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
Comments are closed.