ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণ উত্তর প্রদেশে, বারাণসীতে মন্দিরের দেব-দেবীর মুখেও লাগানো হল দূষণ প্রতিরোধী মাস্ক

প্রবল বায়ু দূষণে জেরবার দিল্লি। দূষণের হাত থেকে নিস্তার পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীও। ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে বুধবার দূষণের সূচক ছিল ৫০০। দূষণ থেকে বাঁচতে মন্দির শহরের পূণ্যার্থীদের তো মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছেই, বিভিন্ন মন্দিরে দেব-দেবির মূর্তির মুখেও লাগানো হয়েছে মাস্ক!
দিওয়ালির পর উত্তর ভারতের ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় বিষের বাতাস থেকে বাঁচতে বারাণসীর মন্দিরে দেব-দেবীর মুখেও অ্যান্টি-পলিউশন মাস্ক লাগিয়ে দিয়েছেন পূজারীরা। বারাণসীর সিগ্রা-র বিখ্যাত শিব-পার্বতী মন্দিরের শিব, দুর্গা, সাঁই বাবার মূর্তি দূষণ থেকে বাঁচতে মুখ ঢেকেছেন মাস্কে। মন্দিরের এক পুরোহিতের কথায়, বারাণসী হল বিশ্বাসের জায়গা। আমরা দেব-দেবীদের জীবিত রূপেই কল্পনা করি। তাঁদের পুজো দিই। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার দিকটাও আমাদের দেখতে হয়। গ্রীষ্মে যেমন চন্দন চর্চিত করে মূর্তিদের ঠান্ডা রাখা হয়, শীতে উলের পোশাক ঢাকা দেওয়া হয় মূর্তিদের গায়ে। একইভাবে তীব্র দূষণ থেকে দেব-দেবীদের রক্ষা করতে এবার তাঁদের মুখে এই মাস্ক পরানো হয়েছে। তবে কালী মূর্তিতে কোনও মুখোশ পরানো হয়নি। ওই পুরোহিতের কথায়, কালী রাগী দেবী, তাঁর জিভকে ঢাকা দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করি আমরা।
দিওয়ালির পর থেকে বিপজ্জনক মাত্রায় বায়ু দূষণ বেড়ে গিয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে। তবে বারাণসীর মন্দিরের পুরোহিতদের  দাবি, শুধুমাত্র দিওয়ালির বাজি পোড়ানো থেকেই যে এই দূষণ হয়েছে, এটা ভাবা ঠিক নয়। হরিশ মিশ্র নামে এক পুরোহিত বলেন, বারাণসীর প্রত্যেক বাসিন্দাই নিজেদের মতো করে দূষণ ছড়াচ্ছেন। কিন্তু সেসব দিকে নজর না দিয়ে প্রশাসনের তরফে কেবল বাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত না প্রত্যেকটি মানুষ দূষণ প্রতিরোধের চেষ্টা করবে, ততদিন এই দূষণ থেকে রেহাই নেই মিলবে না।
এদিকে দিল্লির মতো উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারও লখনউ প্রশাসনকে জোড়-বিজোড় নীতিতে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। ফসলের নাড়া পোড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট বুধবারই কয়েকটি রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে।

Comments are closed.