শিল্পীকে অভিনব শ্রদ্ধা আরেক শিল্পীর, নারায়ণ দেবনাথের স্মরণে বাঁটুল দি গ্রেটের মাটির মূর্তি গড়লেন মৃৎশিল্পী সুবীর পাল

মাত্র ১২ বছর বয়েসে ১৯৮২ সালে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে লন্ডনে ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যালে অংশ গ্রহন করেছিলেন। ১৯৯১ সালে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। তিনি কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী সুবীর পাল। শিশু সাহিত্যিক নারায়ণ দেবনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে অভিনব প্ৰন্থা বেছে নিলেন সুবীর। নিজের শিল্পের মাধ্যমেই আপামর বাঙালির শৈশবের জাদুকরকে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। 

মঙ্গলবার শিল্পীর প্রয়াণে যখন আপামর বাঙালির মনখারাপ, সেই সময় তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নারায়ণ দেবনাথেরই কালজয়ী চরিত্র বাঁটুল দি গ্রেটের মূর্তি বানিয়ে তাঁকে স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী সুবীর পাল। TheBengalStory-কে সুবীর জানালেন, সকালে খবরটা শুনে বাকিদের মতো তাঁরও বেশকিছুটা মনখারাপ হয়। ঠিক করেন স্রষ্টার সৃষ্টির মাধ্যমেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। বললেন, মাত্র দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে বাঁটুল দি গ্রেটের মাটির মূর্তি বানাতে।

 

মাটির বাঁটুল দি গ্রেটের মূর্তিটি ইতিমধ্যেই নেট মাধ্যমে ভাইরাল। কৃষ্ণনগর তো বটেই, সারা ভারতে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে পরিচিত নাম সুবীর পাল। দাদু, বাবা সহ তাঁর পুরো পরিবারই বংশানুক্রমে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। 

কথায় কথায় জানা গেল, নিজের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার সহ একাধিক দেশ বিদেশের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সুবীর বাবুর ঝুলিতে রয়েছে, লিমকা বুক অফ রেকর্ড,  ইউনিক ওয়ার্ন্ড রেকর্ড,  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড। তাঁর শিল্পকর্ম রাখা আছে দিল্লির ন্যাশানাল মিউজিয়ামে,  যা দেখে মিশেল ওবামা বিষ্মিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি  শিল্প কর্মের জন্য দিল্লির AIIPPHS বিশ্ববিদ্যালয় সুবীর পালকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে।

 

সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছলেও এখনও শিল্পের নতুন নতুন ফর্ম শিখতে আগ্রহী সুবীর পাল। সেই সূত্রেই তিনি বললেন, কৃষ্ণনগর দেশ সহ সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এখানকার বহু শিল্পী একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তাও আমাদের শহরে একটাও আর্ট কলেজ নেই। ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরে কাজ শিখিছে। কিন্তু কৃষ্ণনগরে একটি আর্ট কলেজ থাকলে অনেকে প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ পেত, আরও নতুন প্রতিভা উঠে আসত। 

Comments are closed.