জেএনইউ-তে গুন্ডাদের হামলার প্রতিবাদে অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত সরকারি প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইকনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং-এর এক অধ্যাপক। প্রফেসর সিপি চন্দ্রশেখর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ইস্তফাপত্রে লেখেন, যে জেএনইউ-তে আমি থাকি, কাজ করি, সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমার পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া অসম্ভব।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধ্যাপক চন্দ্রশেখর বলেন, সবচেয়ে গোলমেলে ব্যাপার হল, সব কিছুকে দেশবিরোধী তকমা দিয়ে সেটাই সত্যি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার জেএনইউ হামলার পাশপাশি অধ্যাপকের ইস্তফাপত্রে উঠে এসেছে অর্থনীতি, বেকারত্ব ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমীক্ষা প্রকাশ না করার অভিযোগও। সরকারি পরিসংখ্যানের স্বচ্ছতা নিয়েও ইস্তফাপত্রে প্রশ্ন তুলেছেন জেএনইউ-র ওই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চাপে কেন্দ্রীয় সমীক্ষাগুলির ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কমিটিতে তিনি থাকতে পারবেন না বলে ইস্তফাপত্রে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সি পি চন্দ্রশেখর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (এনএসসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন পি সি মোহনন। বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় সমীক্ষা প্রকাশে টালবাহানার জেরে এই পদত্যাগ বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কমিশনের আর এক সদস্য, জে মীনাক্ষীও মোহননের সঙ্গে পদত্যাগ করেন। অপ্রকাশিত সেই রিপোর্ট ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সৌজন্যে প্রকাশ্যে আসে। যেখান থেকে জানা যায়, গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশের বেকারত্ব সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে ২০১৮ সালে। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে উপভোক্তা ব্যয় সমীক্ষা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। বলা হয়েছিল, ২০১৭-১৮-র ওই রিপোর্টে ‘তথ্যগত ভুল’ রয়েছে। যদিও বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে, গ্রামাঞ্চলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা গত চার দশকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পতন হয়েছে।
Comments are closed.