“বিকল্প আছে” মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের
বামপন্থীরা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে, ছাত্র আন্দোলনের কথা বলে, বার্তা তুলে ধরা হয় বিকল্প মঞ্চে
রাজনীতির জাঁতাকলে দিশেহারা অবস্থা বাংলার শিল্পীদের। এবার “বিকল্প আছে” মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদে সরব হলেন বাংলার শিল্পী সমাজের একাংশ। বামপন্থীরা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে, ছাত্র আন্দোলনের কথা বলে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তাঁরা যুক্ত। এই বার্তাই তুলে ধরা হয় বিকল্প মঞ্চে।
যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৩০০ দিন উপলক্ষ্যে “বিকল্প আছে” মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তরুণ মজুমদার, বাদশা মৈত্র, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখার্জি, দেবজ্যোতি মিশ্র, দেবদূত ঘোষ, উৎসব মুখার্জি, ঊষসী চক্রবর্তী প্রমুখ।
তরুণ মজুমদার বলেন, “কর্পোরেটের হাতে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে মোদী সরকার। সেখানে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই করছেন কৃষকরা। এই সময় বামপন্থীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে চারিদিকে।”
শিল্পী মহল থেকে বেশ কয়েকজনের দল বদলের প্রসঙ্গে অনীক দত্ত জানান, সুবিধাবাদীরা আগেও ছিল, এখনও আছে। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা কম। যাঁরা আছেন তাঁরা স্পষ্টবক্তা।
“ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়েই দল ছাড়া হয়।” অভিযোগ করেন বাদশা মৈত্র। অন্যদিকে “বামপন্থীদের লোভ কম, ভয় কম বলেই তাঁরা দলবদল করেন না” বলে দাবি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের।
রুদ্রনীল ঘোষের দলবদলের প্রসঙ্গে দেবদূত ঘোষ জানান, “নাটকের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর কথা। বামপন্থীরা খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কথা বলেন। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তাঁরা যুক্ত। রুদ্রনীল যদি এধরনের কাজে যুক্ত হয়, শুভেচ্ছা থাকবে।”
বিধানসভা ভোটের আগে নানা ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কয়েকদিন আগেই একঝাঁক নাট্য শিল্পী তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি বাংলায় অপ সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে চাইছে এই অভিযোগ নিয়ে ওই শিল্পীরা যোগ দেন তৃণমূলে। এদের মধ্যে ছিলেন মুরারী মুখার্জি, গৌতম মুখার্জি প্রমুখ।
Comments are closed.