আদালতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন রাজীব কুমার
আদালতে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই যে হলফনামা পেশ করেছে তার মধ্যে তিনটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে আবেদন করতে পারেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
প্রথমটি হল, কল রেকর্ড সম্পর্কিত যে তথ্য সিবিআই শীর্ষ আদালতে পেশ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজীব কুমার। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, সারদা কাণ্ডে কল রেকর্ডের বিকৃত সিডিআর তাদের হাতে দেন রাজীব কুমার। সিবিআই দাবি করে, সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে পাওয়া কল রেকর্ডের থেকে অনেকাংশে আলাদা রাজীব কুমারের দেওয়া সিডিআর।
কলকাতা পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ওই সিডিআর বিধাননগর কমিশনারেটের থেকে চেয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু সে সময় রাজীব কুমার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন না। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা প্রশ্ন তুলছেন, সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছেই যখন কল রেকর্ড পাওয়া যেত তখন বিধাননগর কমিশনারেটের থেকে কল রেকর্ড কেন চাইল সিবিআই। ২০১৬ সালে রাজীব কুমার কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পান, আর সিবিআই-এর হাতে সিডিআর তুলে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর নয় বলে জানান ওই পুলিশ অফিসার।
দ্বিতীয়ত, সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, সারদা চিট ফান্ড মামলায় তদন্তের কার্যনিবাহী প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। যদিও, এই তথ্য মানতে নারাজ কলকাতা পুলিশের ওই অফিসার জানান, সারদা চিট ফান্ড মামলার তদন্তকারী দল (এসআইটি) তে রাজীব কুমার কার্যনিবাহী প্রধান ছিলেন না। এই দায়িত্ব ছিল এডিজি সিআইডির ওপর, যিনি এই মামলার তথ্য বিভিন্ন দফতর থেকে জোগাড় করে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেন।
তৃতীয়ত, সিবিআই ওই হলফনামায় দাবি করেছে, ২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর দুর্গাপুরে রোজভ্যালি সংস্থার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআর-এর কথা গোপন করে রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল (এসআইটি)। যার ফলে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এরাজ্যে তদন্ত শুরু করতে অসুবিধে হয় সিবিআই-এর। পরে ওড়িশায় দায়ের হওয়া এফআইএর-এর ভিত্তিতে রোজভ্যালি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়।
আদালতকে দেওয়া সিবিআই-এর এই তথ্য সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, দুর্গাপুরে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর সঙ্গে রাজীব কুমারের কোনও সম্পর্ক নেই। আসানসোল পুলিশ কমিশনার এসম্পর্কে আগেই সিবিআইকে তথ্য দিয়েছেন।
Comments are closed.