খালি হচ্ছে ১৭ রাজ্যে রাজ্যসভার ৫৫ টি আসন। পশ্চিমবঙ্গের ৫ টি সহ মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অসম, বিহার, ছত্তিসগঢ়, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, রাজস্থান ও মেঘালয়ে রাজ্যসভার ভোট আগামী ২৬ মার্চ।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ৫ জন রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, তাঁরা হলেন কে ডি সিংহ, মণীশ গুপ্ত, যোগেন চৌধুরী, আহমেদ হাসান ইমরান এবং ঋতব্রত ব্যানার্জির। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ৬ বছরের মেয়াদে কেমন পারফরমেন্স বাংলার বিদায়ী রাজ্যসভার সাংসদদের। প্রত্যেক সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে বছরে ৫ কোটি টাকা পান। ৬ বছরে প্রত্যেক সাংসদ ৩০ কোটি টাকার কাজ করতে পারেন।
তৃণমূল সাংসদ, শিল্পী যোগেন চৌধুরী। যোগেনবাবুর জন্য ভারত সরকার ২৭.৫০ কোটি টাকার ফান্ড রিলিজ করেছে। যোগেন চৌধুরীর খরচ হয়েছে ২৮.৪১ কোটি টাকা। মোট ১৩১ টি প্রকল্পের কাজের প্রস্তাব করেছেন, তার মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে ৭৫ টি। অর্থাৎ, কাজ শেষের নিরিখে যোগেন চৌধুরীর সাফল্যের হার ৫৭ শতাংশ।
নির্দল সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার। সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, ঋতব্রত ব্যানার্জির জন্য রিলিজ করা হয়েছে ২২.৫০ কোটি টাকা। ২৩ ডিসেম্বর অবধি ঋতব্রত ব্যানার্জি খরচ করেছেন ২৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। মোট ১৬১ টি কাজের সুপারিশ করেছেন, তার মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ৭১ টি। অর্থাৎ, কাজ শেষের নিরিখে ঋতব্রত ব্যানার্জির সাফল্যের হার ৪৪ শতাংশ।
তৃণমূলের আর এক সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। ২৩ ডিসেম্বর অবধি ভারত সরকার তাঁর জন্য রিলিজ করেছে ১৭.৫০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ইমরান খরচ করেছেন ১৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। মোট ৪৬ টি কাজের প্রস্তাব করেছিলেন। তার মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ১৬ টি। কাজ শেষের নিরিখে এই সাংসদের সাফল্যের হার ৩৪ শতাংশ।
তৃণমূলের আরেক রাজ্যসভা সাংসদ মণীশ গুপ্ত। যদিও তিনি বাকিদের পরে রাজ্যসভায় এসেছেন। ফলে মেয়াদও তুলনামূলকভাবে কম। সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অবধি ভারত সরকারের তরফে মণীশ গুপ্তের জন্য রিলিজ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। মণীশ খরচ করেছেন ১১.১৮ কোটি টাকা। এক্ষেত্রেও বরাদ্দের চেয়ে খরচ বেশি। প্রাক্তন আমলা মণীশ গুপ্ত এই সময়ের মধ্যে ২৭ টি প্রকল্পের কাজের প্রস্তাব করেছেন। তার মধ্যে শেষ হয়েছে ৯ টি কাজ। অর্থাৎ, প্রকল্প শেষের নিরিখে মণীশ গুপ্তের সাফল্যের হার ৩৩ শতাংশ।
তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহ। এই শিল্পপতির সঙ্গে ইদানীং তৃণমূলের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে। কে ডি যে আর টিকিট পাচ্ছেন না, তাও একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু সাংসদ হিসেবে কেমন কাজ করলেন কে ডি সিংহ?
এমপি ল্যাডের সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, কে ডি সিংহের জন্য সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে রিলিজ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। মোট খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ৭০ লক্ষ। মোট ৬২ টি কাজের প্রস্তাব করেছেন তিনি। কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫ টি। অর্থাৎ, কাজ শেষের সাফল্যের হার মাত্র ৮ শতাংশ।
সরকারি ওয়েবসাইটে ১৪ জানুয়ারি কে ডি সিংহের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে।
Comments are closed.