দেশজোড়া বিতর্কে মুখ খুললেন রঞ্জন গগৈ: সংসদে আমার উপস্থিতি বিচারসভার মত আইনসভার সামনে রাখার সুযোগ এনে দেবে
সোমবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় যাবেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এরই মাঝে রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার অসমের এক সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। সেখানে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থে আইনসভা ও বিচারসভার একসঙ্গে কাজ করা উচিত, এটা ভেবেই আমি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’
রাজ্যসভায় রঞ্জন গগৈয়ের মনোনয়নের বিষয়টি সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, অযোধ্যা মামলার রায় সরকারের পক্ষে যাওয়ায় এই পুরস্কার তাঁকে দিয়েছে কেন্দ্র। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, কেন্দ্রের প্রস্তাব কেন গ্রহণ করলেন গগৈ? কেন তা প্রত্যাখ্যান করলেন না? এই প্রেক্ষিতে নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনেও মুখ খুলেছেন রঞ্জন গগৈ। বলেছেন, সংসদে আমার উপস্থিতি আইনসভার মত ও বিচারসভার মতামতের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি করতে পারে। আমি সংসদে স্বাধীনভাবেই নিজের মত তুলে ধরব।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে বসেন রঞ্জন গগৈ। পরবর্তীতে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়, রাফাল মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি। যা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষেই যায়। অসম এনআরসির তথ্য আপডেটের কাজও তাঁর নির্দেশেই হয়। যেখানে নাম বাদ যায় ১৯ লক্ষ অসমবাসীর।
তথ্য বলছে, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন আরেক বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র কংগ্রেসের টিকিটে ১৯৯৮ সালে সংসদে গিয়েছিলেন। তবে এই প্রথম কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাষ্ট্রপতি মনোনিত প্রার্থী হলেন রাজ্যসভায়।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের যে চার বিচারপতি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেল তার অন্যতম ছিলেন রঞ্জন গগৈ।
Comments are closed.