TRP Scam: মোদী মন্ত্রিসভা পাশে, দাবি অর্ণবের! বিতর্ক থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি
অর্ণব গোস্বামী মন্ত্রিসভা ঘনিষ্ঠতার দাবি জানালেও বাস্তব পরিস্থিতি কী?
একদিকে যখন অর্ণব গোস্বামী দাবি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সঙ্গে আছে, তখন বিজেপির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত রিপাবলিক টিভির কর্নধারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলা হবে। বিজেপির ছয় হেভিওয়েট নেতা কার্যত স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়ে রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী এবং ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (BARC) প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসআপে কথোপকথনের স্ক্রিনশট। অর্ণব ও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে কথোপকথনের কয়েকটি স্ট্রিনশট টুইটারে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ তুলে ধরেন। এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই জানা গেছে যে, বার্কের কিছু গোপন নথি ও কিছু চিঠিপত্র অর্ণবকে পাঠিয়েছিলেন ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (BARC) প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী পার্থ দাশগুপ্ত। এরপরেই রিপাবলিক টিভির কর্নধার তথা সম্পাদকের কাছে সাহায্য চান প্রাক্তন বার্ক সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। অর্ণব গোস্বামী পার্থ দাশগুপ্তকে আশ্বাস দেন যে, বিজেপির একাধিক নেতা–মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন অর্ণব গোস্বামী। এছাড়াও ট্রাইয়ের নতুন নিয়ম লাগু হলে রিপাবলিক টিভি ও বিজেপির সমস্যা হতে পারে বলে অর্ণব গোস্বামীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত। অর্ণবকে তাঁর প্রভাব খাটিয়ে ট্রাইয়ের এই সংস্কার আটকাতে বলেছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত।
পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের রিপাবলিক টিভির সম্পাদককে গ্রেফতারির দাবি উঠতে শুরু করে। ফাঁস হয়ে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) এমনকী তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁর রীতিমতো ঘনিষ্ঠতা আছে। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের খবর অর্ণবের কাছে আগাম চলে আসায় প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে বলে অভিযোগ আনেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী।
কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। অর্ণব গোস্বামী মন্ত্রিসভা ঘনিষ্ঠতার দাবি জানালেও বাস্তব পরিস্থিতি কী? সত্যিই কি অর্ণবের পাশে আছে বিজেপি বা মোদী মন্ত্রিসভা? দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। এর আগে যখন মুম্বই পুলিশ অর্ণবকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার করেছিল তখন প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার গোটা ঘটনা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নীতি নিচ্ছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তাহলে কি অর্ণবের দাবি ভিত্তিহীন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে অর্ণব গোস্বামীকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে রাজি নয় বিজেপি। তাই আপাতত এই ঘটনা থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পথে হাঁটছে কেন্দ্রের শাসক দল।
Comments are closed.