দিল্লির হিংসা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে পূর্বাঞ্চলীয় আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, দিল্লির হিংসার ঘটনায় আমি মর্মাহত। এতগুলো লোক মারা গেল, ঘরবাড়ি পুড়ল। কত মানুষ অসহায় হয়ে পড়ল। এই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত সকলের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আমি বলেছি, দিল্লিতে দ্রুত শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।
এদিন অমিত শাহের পৌরোহিত্যে পূর্বাঞ্চলীয় আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠক হয়। মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। নবীন এই পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, বৈঠকে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে মাওবাদী কার্যকলাপ, কয়লার রয়াল্টি, রেল সংযোগ, পারস্পরিক সমন্বয় ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে।
পরে মমতা বলেন, বৈঠকে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এগুলি আলোচ্যসূচিতে ছিল না। বুলবুলের পর রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমরা যে টাকা দাবি করেছিলাম, তা আজও পাইনি। বিষয়টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখতে বলেছি।
নয়া নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআর ইত্যাদি নিয়ে মমতার নেতৃত্বে এই রাজ্যে দীর্ঘ আন্দোলন চলছে। তিনি বরাবর বলে আসছেন, এই রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআর চালু করা হবে না। সভা-সমিতিতে তিনি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করছেন। এই আবহে অনেক দিন পর মমতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হলেন। দু’জনে মুখোমুখি বসে দুপুরের খাওয়া সারেন। সেই ছবি তুলে নেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। পরে তিনি সেই ছবি ট্যুইটও করেন। মমতা এদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরে আসেন। এই বৈঠকের জন্য তিনি মঙ্গলবারই ভুবনেশ্বরে চলে যান। সেখান থেকে বুধবার মমতা পুরীতে গিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন।
Comments are closed.