একদিকে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে, ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দেশের মানুষ। অন্যদিকে,
উত্তর প্রদেশের মইনপুরি থেকে কলকাতার মেটিয়াবুরুজ কিংবা বেঙ্গালুরুর কোনও জনসভা, দেশ নতুন প্রধানমন্ত্রীকে পেতে চলেছে বলে নিয়ম করে বলে যাচ্ছেন দেশের বিরোধী নেতারা। ২৩ শে মের পর পরিষ্কার হবে, কে হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হল (ALL INDIA TRINAMOOL CONGRESS: The party, formed by potential prime ministerial candidate Mamata Banerjee after leaving Congress in 1997, is the fourth biggest in parliament with 34 seats. Banerjee, along with N. Chandrababu Naidu of the regional Telugu Desam Party (TDP), is one of Modi’s biggest critics and has been trying to get an opposition alliance going.)।
ভারতে ক্ষমতাসীন এনডিএ-তে কোন দলের কী অবস্থা, পাশাপাশি ইউপিএ-র কী অবস্থা, তার তুল্যমূল্য বিচার করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। রাহুল, মায়াবতী কিংবা মোদী, সকলের নাম কিংবা পার্টির উল্লেখ তাতে রয়েছে। কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনাতেই তাঁকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে এনডিএ শিরোনামে রয়েছে বিজেপি। মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি গত নির্বাচনে ২৮২ টি আসন পেয়েছিল, লিখেছে রয়টার্স। এনডিএ শিরোনামেই এরপর রয়েছে দক্ষিণের এআইএডিএমকে। তবে জয়ললিতার মৃত্যুর পর বিজেপির এই জোটসঙ্গীর পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানাচ্ছে রয়টার্স। এনডিএ বন্ধনীতেই এরপর রয়েছে শিবসেনা। তাদের কট্টরপন্থী হিন্দু দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়াও রয়েছে মোদীর আরেক জোটসঙ্গী এলজেপির কথাও।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে রয়েছে ইউপিএ এবং তার সম্ভাব্য জোটসঙ্গীদের কথা। সেখানে প্রথমেই রয়েছে জাতীয় কংগ্রেসের নাম। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এবার ১০০ টি আসন পাবে বলে আশা করছে, লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে। এরপরই রয়েছে তৃণমূল। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে লেখা হয়েছে, potential prime ministerial candidate বা সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নায়ডুর জোটের কথা লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়াও একই বন্ধনীতে লেখা হয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের প্রবণতার কথা।
প্রতিবেদনে কিং মেকার শিরোনামে রয়েছে বিজেডি এবং টিআরএসের কথা। কিন্তু কোনও দল কিংবা নেতার পরিচয়েই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী কথাটি নেই। দেশে নতুন সরকার তৈরি হলে সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
Comments are closed.