অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আরএসএস বলল, এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মন্দির গড়ার কাজে নেমে পড়তে হবে। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর বেলা ১ টায় সাংবাদিক বৈঠক করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, এ দেশের জনভাবনা, আস্থা ও শ্রদ্ধাকে মান্যতা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে স্বাগত। সব পক্ষের মনোভাবকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে এবং তার মূল্যায়ন করে শীর্ষ আদালত এই রায় দিয়েছে। রায়কে আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। সঙ্ঘ প্রধান বলেন, এটা কারও জয়-পরাজয়ের ব্যাপার নয়। আমরা চেয়েছিলাম দীর্ঘদিন ধরে চলা এই জমি বিবাদ অবিলম্বে মিটিয়ে ফেলা হোক। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে সেই বিবাদ মিটে গেল বলে আমরা মনে করি। তিনি বাদী-বিবাদী সব পক্ষকেই অতীত ভুলে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। দেশবাসীর কাছে সঙ্ঘ প্রধানের আবেদন, আপনারা সংবিধানকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে আনন্দ করুন। ভাগবত বলেন, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলেরই অতীতের সমস্ত বৈরিতা ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রামমন্দির তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে যে নির্দেশ দিয়েছে, নিশ্চয়ই সরকার সময়সীমা মেনে সেই নির্দেশ কার্যকর করবে। দেরিতে হলেও সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ায় সঙ্ঘ পরিবার খুশি বলে জানান ভাগবত।
অযোধ্যার সাংস্কৃতিক সীমার মধ্যে মসজিদ গড়ার ক্ষেত্রে বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছে আরএসএস। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা পরিমণ্ডলের মধ্যেই মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে সঙ্ঘের কোনও আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন ভাগবত। তবে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই ঠিকই তবে একই এলাকায় দু’পক্ষ থাকলে সমাজের মধ্যে হিংসার উদ্রেক হতেই পারে।
অযোধ্যার সাংস্কৃতিক সীমার মধ্যে মসজিদ গড়ার ক্ষেত্রে বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছে আরএসএস। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা পরিমণ্ডলের মধ্যেই মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে সঙ্ঘের কোনও আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন ভাগবত। তবে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই ঠিকই তবে একই এলাকায় দু’পক্ষ থাকলে সমাজের মধ্যে হিংসার উদ্রেক হতেই পারে।