সায়নী ঘোষকে “যৌনকর্মী” কটাক্ষ, সৌমিত্র খাঁকে কড়া জবাব অভিনেতার
প্রকাশ্য সভা থেকে সায়নীকে আক্রমণ সৌমিত্র খাঁয়ের
সৌমিত্র-সায়নী তরজা অব্যাহত। পূর্ব বর্ধমানের একটি সভা থেকে ঘুরিয়ে সায়নী ঘোষকে যৌনকর্মী বলে আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ। জবাবে সায়নী ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌমিত্র খাঁকে বলেন, “রাগে, শোকে আপনার মাথার ঠিক নেই, বুঝতেই পারছি। আমি কে বা কি সেই সার্টিফিকেট আপনার কাছে নেব না, আপনি ছোট করতে গিয়ে আপনি নিজেই অনেকটা ছোট হয়ে গেলেন, মন্দির, মসজিদ, গির্জা যা ইচ্ছে বানান, কিন্ত তার সাথে কয়েকটি স্কুল, কলেজ , হাসপাতাল, কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারলে সাধারণ মানুষের উপকার হয়।
পূর্ব বর্ধমানের একটি সভা থেকে প্রকাশ্যে অভিনেতা সায়নী ঘোষকে কটাক্ষ করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বলেন, “শিবলিঙ্গকে যাঁরা অপমান করে, তাঁরাই আসল যৌনকর্মী, দক্ষিণ কলকাতায় কিছু ফিল্ম আর্টিস্ট আছেন, যাঁরা শুধু মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে বেতন পান, যাঁরা শিবলিঙ্গকে বা মা মনসাকে অপমান করেন, তাঁরাই আসলে যৌনকর্মী।’’ এর উত্তর দিলেও সায়নী কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে চাননি। তাঁর মতে, ‘মহিলাদের সম্মান করা এঁদের রক্তে নেই’।
শিবলিঙ্গে কণ্ডোম পরানো প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে সায়নী ঘোষ বিজেপির রোষানলে। তাঁর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সায়নীর পাশে দাঁড়ান। হুগলীর সভা থেকে মমতা অভিযোগ করে বলেন, সায়নী ফিল্মে কাজ করেন। তাঁকে ক্রমাগত ধমকাচ্ছে বিজেপি।
২০১৫ সালে শিবরাত্রির দিন, সায়নীর ট্যুইট করা একটি ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যায় শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরানো হচ্ছে। সেই থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। সম্প্রতি এক টেলিভিশন শোয়ে অংশগ্রহণ করে বাঙালিয়ানা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন সায়নী। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মের বিরোধিতার অভিযোগ ওঠে।
অন্যদিকে আরও একটি সভা থেকে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূলের পথসাথী প্রকল্পের বিরোধিতা করে জানান, বাংলায় যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে সাইকেল নয়, স্কুটি উপহার দেওয়া হবে।
তারও জবাব দেন সায়নী।
Comments are closed.