ভাঙছে বাধা। চতুর্থ মহিলা প্রবেশ করলেন সাবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহে। মঙ্গলবার কেরালা দলিত মহিলা ফেডারেশনের সভাপতি এস পি মঞ্জু আয়াপ্পা দর্শন করলেন। এই নিয়ে চতুর্থ মহিলা প্রবেশ করলেন সাবরীমালা মন্দিরে। ৩৬ বছর বয়সী এস পি মঞ্জু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিজেই তাঁর সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের কথা জানান। তাঁর কথায়, মঙ্গলবার ভোর ৪ টে নাগাদ পম্পাতে উপস্থিত হন তিনি। এরপর পুলিশের ঘেরাটোপ ছাড়াই সকাল ৬টা নাগাদ মন্দিরে প্রবেশ করেন। তবে বিক্ষোভকারীদের চোখে ধুলো দিতে চুলে সাদা রঙ করে বৃদ্ধা সেজেছিলেন মঞ্জু। তাঁর মন্দির দর্শনের ২৪ ঘন্টা বাদে সংবাদমাধ্যমকে এস পি মঞ্জুর সহাস্য স্বীকারোক্তি, বিন্দু ও কনকদুর্গার আয়াপ্পা দর্শনের পর যেমনভাবে মন্দির শুদ্ধির কাজ চলছিল, তাঁর বেলায় আর তেমনটা হল না।
মঞ্জু এও দাবি করেন, তাঁর যাত্রাপথে তিনি ইচ্ছে করেই কোনও পুলিশের সাহায্য নেননি। তাঁর ‘ট্রিক’ আন্দোলনকারীরা বুঝতেই পারেনি, বরং যে আয়াপ্পা কর্ম সমিতি মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিপক্ষে, তাঁদের কর্মীরাও মঞ্জুকে মন্দিরে উঠতে সাহায্য করেছেন। মঞ্জুর স্বীকারোক্তি, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর, বেশ কয়েকবার তিনি আয়াপ্পা দর্শনের উদ্দেশে গিয়ে ব্যর্থ হন আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পুলিশও তাঁকে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে সে সময়। মঙ্গলবার যখন মন্দিরে যাচ্ছিলেন, কয়েকজন আন্দোলনকারীর সন্দেহ হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবতী বলে মনে করছেন বলে জানান তিনি।
যদিও, তাঁর মন্দিরে প্রবেশ করার খবর ছড়িয়ে পড়তে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। মঞ্জু দেবীর চুলে সাদা রঙ করে বৃদ্ধার ছদ্মবেশে মন্দিরে প্রবেশকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ‘ট্রিক’কে সস্তা বলে সমালোচনা করছেন অনেকে। কেউ আবার মনে করছেন, ছদ্মবেশ ধারণ করে পুজো দেওয়া কখনোই একজন ভক্তের কাজ হতে পারে না।
Comments are closed.