মারণ রোগ ক্যানসারকে জয় করে সেরে উঠেছিলেন ২০১৫ সালে। কিন্তু ৫ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হলেন ‘জীয়নকাঠি’ ধারাবাহিকের নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মা। ফুসফুসে বাসা বাঁধা ক্যানসার টিউমারটিকে নিখুঁত দক্ষতায় বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপর বাড়ি ফিরে এসেছেন অভিনেত্রী।
আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হলেও ব্যথা সারতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাড়ির মধ্যে একটু হাঁটা-চলা, হালকা এক্সারসাইজ আর পুরোপুরি বিশ্রাম নিয়েই সময় কাটছে তাঁর। আর সঙ্গে দেওয়ার জন্য ঐন্দ্রিলার প্রেমিক বামাক্ষ্যাপা ওরফে সব্যসাচী চৌধুরী তো আছেনই।
ঐন্দ্রিলার কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন সব্যসাচি। বহু বছর ধরেই ছিল তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক কিন্তু কখনই তা প্রকাশ্যে আনেনি। ঐন্দ্রিলার সংগ্রাম, লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ‘বামা’ সব্যসাচী। ফের একবার মনের কথা লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ও ঐন্দ্রিলার একটা সাদা-কালো ছবি পোস্ট করেন সব্যসাচী। মজা করে তাতে লেখেন, ঐন্দ্রিলার মতে এই লকডাউনে সব্যসাচীর জীবন ‘মুদিখানা’য় পরিণত হয়েছে। দূরদূরান্তে মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে চাল-ডাল-তেল-আলু নিয়ে ছুটে যাচ্চে অভিনেতা ও তাঁর টিম। আর তাই সারাদিন কাজের ফাঁকে সেসব হিসেব কষতেই ব্যস্ত থাকেন। আর সেটা নিয়েই মজা করে ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর নাম দিয়েছে ‘মুদিখানা’। অন্যদিকে, বিছানায় শুয়েই সমস্ত দিকে কড়া নজর রাখেন ঐন্দ্রিলা। সব জায়গায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছল কি না, কোথা গিয়েছে তাঁদের লেজ বিশিষ্ট টিম, সমস্তটাই থাকে অভিনেত্রীর নখদর্পণে।
কঠিন লড়াইয়ের পর কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা? সব্যসাচী জানিয়েছেন, ‘পেনকিলার ছাড়া এখনো মারাত্মক যন্ত্রনা হয়, ডাক্তার বলেছেন প্রায় এক বছর লাগবে ব্যাথা নির্মূল হতে। নিজে নিজে শুতে পারে তবে তুলে বসিয়ে দিতে হয়। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে, ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ব্যায়াম করে। এই মাসের শেষ থেকে বাকি রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি চলবে।’
তবে সব্যসাচীর হাজারও ব্যস্ততা এবং ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার মাঝে, ‘মুদিখানার ঝাঁপ বন্ধ রেখে’ সাদা-কালো শহরে নিজেদের জন্য একান্তে কিছুটা সময় বের করে নেন তাঁরা। তারই একটুকরো ছবি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সব্যসাচী। সঙ্গে আশ্বাস, জলদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন ঐন্দ্রিলা।
Comments are closed.