কোষাগারে তীব্র টানাটানি চলছে, শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ এক হাজারের বেশি কর্মচারীর বেতন দিতে দেরি হতে পারে। সোমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে থেকে এমনই নোটিস জারি করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, প্রচণ্ড আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে গড়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ। সেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ১০০ কর্মীর এ মাসের বেতন দিতে দেরি হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিসে বলা হয়েছে, কোষাগারে অনটনের কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির বেতন দেরিতে হতে পারে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রেজিস্টারের সই সম্বলিত এই নোটিস জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। পাঠভবনে ১৫০ জন শিক্ষক ছাড়া ৬০০ জন অশিক্ষক কর্মী কাজ করেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে প্রত্যেকেই এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এক আধিকারিক কোষাগারের অভাবকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
Comments are closed.