কোভিড টেস্ট ও চিকিৎসা ফি’র অতিরিক্ত টাকা ফেরাতে সল্টলেক আমরিকে নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের, রোগী ফেরানোর অভিযোগের তদন্ত চলবে
২২ জুন সল্টলেক আমরি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এক প্রবীণ কোভিড রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর। সেই মামলার অনলাইন শুনানিতে সোমবার সল্টলেক আমরি হাসপাতালকে কোভিড টেস্ট বাবদ নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ও চিকিৎসা খরচ বাবদ নেওয়া টাকার একাংশ ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
২২ জুন সল্টলেক আমরি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন নিউটাউনের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়। কিন্তু হাসপাতালে বেড নেই বলে দাবি করে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কিছু লোক নিজেদের ডাক্তার বলে দাবি করে তাঁকে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপর আরও বিভিন্ন টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন ওই প্রবীণ ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় সংক্রমিত কোভিড রোগীর সঙ্গেই ছিলেন মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর।
তিনিই রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনে সল্টলেক আমরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলারই প্রথম ত্রিপাক্ষিক শুনানি হল সোমবার। সেখানে কোভিড টেস্টের জন্য রোগীর কাছ থেকে নেওয়া ৫ হাজার টাকার মধ্যে ২৮০০ টাকা এবং ডাক্তারের ফি বাবদ নেওয়া ১১৫০ টাকার মধ্যে ১৫০ টাকা, মোট ২,৯৫০ টাকা রোগীকে ফেরত দিতে অন্তবর্তী নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এদিন শুনানিতে রোগী ফেরানো ও দুর্ব্যবহারের মূল অভিযোগ নিয়ে আমরি ৪ পাতার দীর্ঘ লিখিত বক্তব্য পেশ করলে কমিশন তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূরের দাবি, কমিশন জানিয়েছে, আমরির বক্তব্য জমা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগকারী চাইলে লিখিত উত্তর জমা দিতে পারেন। তিন সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানি।
২২ জুন কী হয়েছিল ওই রোগীর সঙ্গে? পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিবের নির্দেশ সত্ত্বেও ৬৭ বছরের কোভিড রোগীকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা সল্টলেক আমরি হাসপাতালের?
Comments are closed.