কোমর জল শরৎচন্দ্রের বাড়িতে, রূপনারায়ণ ছাপিয়ে প্লাবিত দেউলটি
প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে রূপনারায়ণের জল ঢুকে পড়ল শরৎচন্দ্রের বাড়িতে
একদিকে যশের দাপট, তাঁর উপর পূর্ণিমার ভরা কোটাল। গতকাল থেকে থেকেই ফণা তুলছিল রূপনারায়ণের জল। মঙ্গলবার রাত থেকে নদীর পাড় ছাপিয়ে জল উঠছিল। আশঙ্কা সত্যি করে জোয়ার, ভরা কোটাল এবং যশ-দুর্যোগের জেরে ফুলে ফেঁপে উঠল রূপনারায়ণ। প্লাবিত হল নদীর দুই কূল।
হাওড়ার দেউলটিতে রূপনারায়ণের তীরে সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। শরৎচন্দ্রের এই বাড়ি বাঙালির অন্যতম ভ্রমণ স্থলও বটে। কিন্তু প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে রূপনারায়ণের জল ঢুকে পড়ল সেই বাড়িতে। এখন সেখানে এক কোমর সমান জল।
একদিকে গঙ্গা, অন্যদিকে রূপনারায়ণ। দুই নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জল ঢুকেছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। দু’কূল ছাপিয়ে গঙ্গার জল ঢুকছে হাওড়া পুর এলাকায়। একাধিক বাড়ির একতলা এখনও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বুধবার যশ আছড়ে পড়ার সময় নদীগুলিতে জলস্তর অনেকটা বেড়ে যায়। উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। মনে করা হচ্ছে, যশের দাপট আর ভড় কোটালের কারণে উপকূলীয় এলাকার অসংখ্য জায়গায় বাঁধ উপছে নদীর জল ঢুকেছে গ্রামে। বানভাসি হয়েছে বহু গ্রাম। সেই একই ছবি হাওড়ার দেউলটিতেও।
বাংলা সাহিত্যের জগতে কথা-শিল্পী নামেই পরিচিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতেই সৃষ্টি হয়েছে শ্রীকান্ত, পরিণতি পেয়েছে পরিণীতা, সামাজিক মূল্যবোধ পেয়েছে পল্লী সমাজ, বিচ্ছেদ-প্রেম রসে সৃষ্টি করেছেন দেবদাস। কল্পনাকে বাস্তবের রূপ দিয়ে রচনা করেছেন একাধিক গল্প-উপন্যাস। আজ সেই সাহিত্য সৃষ্টি কর্তার বসতবাটিতে রূপনারায়ণের জল থৈ থৈ।
Comments are closed.