বিক্রি করা যাবে স্যারিডনসহ নিষিদ্ধ হওয়া তিনটি ওষুধ, জানাল সুপ্রিম কোর্টের

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল স্যারিডন সহ ৩২৮ টি নামী ওষুধের বিক্রি। কিন্তু কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার শীর্ষ আদালত স্যারিডনসহ তিনটি ওষুধের উপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তোলার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, এবার থেকে এই ওষুধগুলির উৎপাদন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাতিল হওয়া ওষুধের তালিকায় পিরামল গ্রুপের স্যারিডন ছাড়াও ছিল অ্যালকেম এ ল্যাবরেটরির ট্যাক্সিম এ জেড এর মতো অ্যান্টিবায়োটিক ও ম্যাক্লয়েড ফার্মার প্যান্ডার্ম প্লাস মলম, যেগুলি বাজারে বহুল প্রচলিত। ড্রাগ নিয়ন্ত্রণে এদেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংগঠন ডিএটিবি’র পরামর্শে ৩২৮ টি ওষুধের উপর এই নিষেধাঞ্জার যুক্তি হিসাবে কেন্দ্র জানিয়েছিল, নিষিদ্ধ হওয়া ওষুধগুলি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশনের। অর্থাৎ দু’টি বা তিনটি ওষুধ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে এগুলি তৈরি করা হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, একটি ওষুধের প্রয়োজন হলে এই ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে কার্যত দুই তিন রকমের ওষুধ খেতে হয়। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
২০১৬ সালে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তখন এর প্রতিবাদ করে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে
বিষয়টি বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। সম্প্রতি ওই কমিটিও এই ওষুধগুলি নিষিদ্ধকরণের পক্ষেই রায় দেয়। মনে করা হচ্ছে, যেগুলির আনুমানিক মূল্য দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ড্রাগস অ্যাকশন নামের সংগঠন। জানা গেছে, ভারতের বাজারে এরকম ফিক্সড ডোজের ওষুধের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার, যা আমেরিকায় ৫০০ র কাছাকাছি।

Comments are closed.