মঙ্গলবার খড়দহ গেলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি। খড়দহ কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনে শোভনদেব তৃণমূল প্রার্থী হতে চলেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও তাঁর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চ্যাটার্জি। জয়ী হয়ে কৃষিমন্ত্রী হন। ২১ মে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি।
শোভনদেবকে নিয়ে আরও একটি আলোচনা চলছিল। এবার কী তবে দল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিল্লি পাঠাবে? কিন্তু বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেও মন্ত্রিত্ব ছাড়েননি শোভনদেব। যা থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার খড়দহ পৌঁছেই জনসংযোগ শুরু করে দেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। প্রথমে শ্যামের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ‘দুয়ারে ভোজন’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছে। শোভনদেব চ্যাটার্জি সেই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। দলের অন্যতম সিনিয়ার নেতাকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব উৎসাহিত।
কর্মসূচি শেষে খরদহের জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার বাড়ি যান তিনি। ভিটে জিতলেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে যান কাজল সিনহা। তাঁর মৃত্যুতেই খড়দহে উপনির্বাচন হবে।
বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রথম সভাপতি। শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে তাঁর একটি আলাদা পরিচিতি রয়েছে। খড়দহ শিলাঞ্চল হওয়ায় এবার কী জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক মৃদু হেসে জানান, পুরোটাই খড়দহের মানুষের উপর।
Comments are closed.