এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে নাটক করার জন্য কর্ণাটকের একটি স্কুলের বিরুদ্ধে রুজু হল দেশদ্রোহিতার মামলা। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছে ওই নাটকে।
সূত্রের খবর, গত ২১ জানুয়ারি উত্তর-পূর্ব কর্ণাটকের বিদার জেলার শাহিন স্কুলে কচিকাঁচাদের নিয়ে একটি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। মহম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই নাটকটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় থানায়। অভিযোগ করা হয়েছে, সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতা করে ওই নাটকে খুদে অভিনেতার মুখ থেকে বলানো হয়, প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করা উচিত। নাটকের মাধ্যমে ভুয়ো খবর পরিবেশনের অভিযোগও উঠেছে। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, এনআরসি-র কারণে মুসলিমদের দেশ ছাড়তে হবে, এমন ‘অপপ্রচার’ পরিবেশন করা হয় ওই নাটকের মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে নাকি এক শিশু অভিনেতা অপর অভিনেতাকে বলে, ‘সরকার মুসলমানদের ভারত ছাড়তে বলেছে।’ প্রতিক্রিয়ায় অন্য শিশু অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আম্মা, মোদী বলছেন, তোমার বাপ-ঠাকুরদার কাগজপত্র দেখাও, নাহলে দেশ ছাড়। উত্তরে আম্মাকে বলতে শোনা যায়, ‘যে কাগজপত্র দেখতে চাইবে, তাকে জুতোপেটা কর।’
এই নাটকের প্রেক্ষিতে বিদার জেলার নিউটাউন থানায়ে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফৌজদারি ধারায় স্কুলের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধান, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত ‘এক’ ও ‘দুই’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও, যে ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়, তাঁর বিরুদ্ধেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫ (২) এবং ১২৪ ‘এ’ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটকের একটি এলাকায় আরএসএস নেতা কাল্লাড়কা প্রভাকর ভাট পরিচালিত একটি স্কুলে বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের দিয়ে একটি নাটক করানো হয়। সেখানে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া এবং কর্ণাটকের একাধিক মন্ত্রী। তখন বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক হলেও কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
Comments are closed.