ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু থেকে দুর্নীতি, একাধিক ইস্যুতে রাস্তায় নামল বাম ছাত্রযুবরা। আর মঙ্গলবার বামেদের ‘ইনসাফ সভা’কে কেন্দ্র করে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল কলকাতার একটি অংশ। ভিড় এতটাই বাড়ল যে সভাস্থল পরিবর্তন করতে হল বাম নেতৃত্বকে।
এদিন আগে থেকেই ঠিক ছিল ধর্মতলায় ট্রাম টার্মিনাসের পাশে সভা হবে। সেই মতো প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল মীনাক্ষী সৃজনরা। কিন্তু বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি পুরো পাল্টে যায়। হাওড়া, শিয়ালদহের দিক থেকে কাতারে কাতারে কর্মী সমর্থক আসছে। ভিড় এতটাই বাড়ল, যে শেষ পর্যন্ত সভাস্থল পরিবর্তন করতে হল নেতৃত্বকে।
ট্রাম টার্মিনাস থেকে সভা সরিয়ে আনতে হল ধর্মতলা মোড়ে। সেখানে সভার অনুমতি চেয়েও শেষ মুহূর্তে অনুমতি পায়নি SFI-DYFI। যা নিয়ে পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন DYFI এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী। বলেন, “পুলিশের এক্তিয়ারই নেই আমাদের অনুমতি দেওয়ার। কমরেডরা আসবেন। জায়গা না পেলে মানুষ নিজের জায়গা নিজে করে নেবে”।
দুপুর গড়াতেই ধর্মতলার চেনা ছবি পাল্টে গেল। রাস্তাও ঢল নামল বাম কর্মী সমর্থকদের। কার্যত তিল ধরানোরও জায়গা ছিল না এদিন। ধর্মতলা এদিন একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এদিনের ইনসাফ সভায় বক্তব্য রাখেন, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, SFI রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, SFI রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা প্রমুখ।
Comments are closed.