বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ফের সরব শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জিকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অবিলম্বে এই দুই বিধায়ককে অপসারিত করার আর্জি জানিয়েছেন।
একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন এই দুইজন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই তাঁরা যোগ দেন তৃণমূলে। তাই বিমান ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই দুইজনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছেন। ভোটের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় ফিরে আসেন তৃণমূলে। সেইসময় অভিষেক ব্যানার্জি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলে আসার জন্য আরও অনেকে লাইনে আছে। আর এরপরেই দেখা যায়, পরপর বিজেপি বিধায়করা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। তৃণমূলে ফিরে আসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এরপর বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিত দাস যোগ দেন তৃণমূলে।
মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা বলছেন। অন্যদিকে কুনাল ঘোষ পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেছেন, শিশির অধিকারী তৃণমূল সাংসদ কিন্তু তিনি এখন কোন দলে? শুভেন্দু অধিকারী নিজেও দলত্যাগ করেছেন। তাই তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।
Comments are closed.