শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলের পাশাপাশি জল্পনা অব্যাহত রাজ্য রাজনীতিতে। গত সপ্তাহে তৃণমূলের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোর কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি গিয়েছিলেন। শিশির অধিকারীর দেখা পেলেও সেদিন পিকের সঙ্গে শুভেন্দুর সাক্ষাৎ হয়নি। অধিকারীদের বাড়িতে বসেই শিশির অধিকারীর ফোন থেকে পিকে কথা বলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। বরফ যে গলেনি তা বোঝা গিয়েছিল তারপর।
এরপরই তৎপরতা শুরু হয় তৃণমূল শিবিরে। সোমবার রাতে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একান্তে বসলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। রাত ৮ টা নাগাদ ভিআইপি রোডের উপর হলদিরামের কাছে এক জায়গায় সাক্ষাৎ করেন সৌগত রায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, সৌগত রায়ের কাছে পিকে ও অভিষেক ব্যানার্জিকে নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের পরিবহণ, জলসম্পদ ঊন্নয়ন ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দল ছেড়ে দিচ্ছেন, কেন এই জল্পনা ছড়াচ্ছে শুভেন্দুর কাছে জানতে চান সৌগত রায়। শুভেন্দু তাঁকে বলেছেন, আগেও পিকেকে অভিষেক ব্যানার্জির ভূমিকা নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে বলেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আলোচনার দরজা খোলা আছে।
সৌগত রায় জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দুর বক্তব্য দলের সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছে দেবেন। পাশাপাশি এনিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যও শুভেন্দুকে জানাবেন।
গত কয়েক মাসে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে বিস্তর। একাধিক সভায় নাম না করে তৃণমূলকে বার্তা দিতেছেন শুভেন্দু। চুপ ছিল না তৃণমূলও। কল্যাণ ব্যানার্জি থেকে পূর্ণেন্দু বসু, পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত অখিল গিরি, কখনও নাম করে আবার কখনও আকারে-ইঙ্গিতে শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সোমবার রাতে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে শুভেন্দুর একান্ত সাক্ষাৎ এবং আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
Comments are closed.