যেখানেই যাই জেতার জন্য যাবো। জাতীয় প্রেক্ষাপটে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাতে ১ মাস সময় নিলেও লক্ষ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। কিন্তু নেতৃত্বের পরিকল্পনা চূড়ান্ত ঘোষণার আগেই ত্রিপুরা থেকে ডাক এলো কালীঘাটে।
বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা থেকে এবার ডাক এলো তৃণমূল নেত্রীর কাছে। ২০২৩ সালে সেখানে ভোট। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘খেলা হবে ত্রিপুরাতে’ নামে একটি ভিডিও। সেখানে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কমলিকা চক্রবর্তীকে দেখা যাচ্ছে গান গাইতে। গানে বলা হয়েছে, বলছে ত্রিপুরা, আসছে মমতা। যে সামাজিক প্রকল্পের সফল রুপায়নের কারণে বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে এত বিপুল ভোট দিয়ে আশীর্বাদ করেছে এবার সেই সুযোগ ত্রিপুরাবাসীর সামনেও আসতে চলেছে। গানের ছত্রে ছত্রে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী থেকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্পের কথা। আবার খেলা হবে’র প্রসঙ্গও। উন্নয়ন এবং অগ্রগতির স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করতেও বলা হয়েছে গানে গানে।
রানাঘাটের বাসিন্দা কমলিকা চক্রবর্তী ছোটবেলা থেকেই দিদি ভক্ত। দিদির আন্দোলন সংগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন নিজের জীবনের চলার পথে। এবার সেই কমলিকা চক্রবর্তীর গলায় খেলা হবে ত্রিপুরাতে গান। শিল্পী বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ত্রিপুরার তৃণমূল মনস্ক মানুষদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। তাঁরা আমাকে এরকম একটি গান বেঁধে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি নিজেও এমন কিছু করতে চাইছিলাম। তারপরই এটা তৈরি হয়।
কমলিকা চক্রবর্তী নিজে থাকেন রানাঘাটে। কিন্তু গানের সূত্রে ত্রিপুরার সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ। তাঁর মতে, বিজেপির শাসনের থেকে পরিত্রাণ চাইছেন ত্রিপুরার মানুষ। বাংলায় দিদির বিপুল জয় সেই মানুষগুলোকে অক্সিজেন দিয়েছে। তাঁরা জানেন, মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে ত্রিপুরায় প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব। তাই একইসঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে ত্রিপুরায় আসার বার্তা আবার ত্রিপুরাবাসীকে তৃণমূলে যোগদানের আহবান, বলেন শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সামাজিক নানা ইস্যুতে গানের সুরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিল্পী। নোটবন্দি নিয়ে তাঁর নিজের লেখা ও সুর করা গানও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। কমলিকা চক্রবর্তী বলছেন, ত্রিপুরার মানুষ তৈরি হয়ে রয়েছেন। এখন একজন যোগ্য লোকের হাতে দিদি দায়িত্ব তুলে দিন। তাঁর অনুরোধ, ত্রিপুরার মানুষকে মমতার স্পর্শ পাওয়ার একটা সুযোগ করে দিন।
ইতিমধ্যেই কমলিকা চক্রবর্তীর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক জনপ্রিয় হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অগ্রাধিকারের তালিকায় ত্রিপুরা কোথায় থাকে।
Comments are closed.